ধীরে ধীরে গরম বাড়ছে বঙ্গে। তবে গ্রীষ্মের প্রখর রোদের তাপ থাকলেও ভোরের দিকে হাল্কা ঠান্ডা ভাব এখনও অটুট বাংলায়। বেলা গড়ালে অবশ্য চেনা ছন্দেই গরম টের পাচ্ছেন বঙ্গবাসী। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, আপাতত এমনই তাপমাত্রা বজায় থাকবে। দক্ষিণবঙ্গে কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
বেলা যতই বাড়ছে ততই অস্বস্তিজনক আবহাওয়া দেখা দিচ্ছে। মার্চের মাঝামাঝি শহরের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি পেরিয়ে গেল। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক বলছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি।
গত দু'দিন বেলা বাড়লে রীতিমত আগুনের হলকা লাগছে গায়ে। শুক্রবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিক বলছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি।
দক্ষিণবঙ্গেও আগামী ২৪ ঘন্টায় সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। তবে শনিবার থেকে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে খবর আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে। মূলত বৃষ্টি হতে পারে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং-এ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী ৫ দিনে দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না।
দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সর্বত্রই ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। মার্চে বাকি দিনগুলিতে গরম উত্তরোত্তর বাড়বে । মৌসম বিভাগ জানিয়েছে, মার্চেই তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪১ ডিগ্রি। ১ মার্চ IMD-র ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, গ্রীষ্ম এসে গিয়েছে। না জানিয়েই বিদায় নিয়েছে ঋতুরাজ বসন্ত।
বাংলার মতোই দেশের বিভিন্ন অংশ জুড়ে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী গুজরাতে সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তবে গুজরাতের সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ ছাড়া দেশের আর কোথাও আগামী ৫ দিনে তাপপ্রবাহের কোনও সতর্কবার্তা নেই।
মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি রাজ্য ছাড়া সারা ভারতেই অব্যাহত থাকবে গ্রীষ্মের দাপট। উত্তর, উত্তর পশ্চিম, উত্তর পূর্ব এবং পূর্ব ভারতের কিছু রাজ্যে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা বেশি থাকবে তাপমাত্রা। এমনকী হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত রাজ্যগুলিও পাবে না রেহাই। সেখানেও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা চড়বে তাপমাত্রার পারদ।