বেহাল রাস্তা নিয়ে বিধায়ক-পঞ্চায়েত প্রধান তরজা! 'এই কারণেই দলত্যাগ' জানালেন প্রবীর

ভোটের মুখে রাস্তা তৈরি বাংলার এক নির্বাচনী সংস্কৃতির মধ্যেই পড়ে। কিন্তু কোন্নগরের নৈটি রোডের বেহাল অবস্থা সে সংস্কৃতি তোয়াক্কা করে না বলেই মত একাংশের। ভোট আসে, ভোট যায়। কিন্তু রাস্তায় বেহাল অবস্থা যেন আরও বেহাল হতে থাকে। ফোটো ও তথ্য- ভোলানাথ সাহা

উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের এই এলাকাটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। দিল্লি রোড এবং কোন্নগর সংযোগকারী নৈটি রোড গত ২ বছরে তার কঙ্কালসার চেহারা প্রকাশ করেছে। ৫ কিলোমিটার রাস্তা পুরোটাই খানাখন্দে ভরা৷ যার জেরে দুর্ঘটনাও ঘটে আকছাড়। 

এদিকে ডানকুনি-আরামবাগ সংযোগকারী এই রাস্তা বহু মানুষের রুজি-রোজগারের পথ। অটো-টোটো ছাড়াও যাত্রীবাহী গাড়িও চলে এই রাস্তায়। প্রাণ হাতে নিয়ে এই পথ অতিক্রম করতে হয় নিত্যযাত্রী ও এলাকাবাসীকে। পাশাপাশি নতুন করে উপদ্রব শুরু হয়েছে চুরি-ডাকাতির।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন এই রাস্তা মেরামতির আবেদন জানালেও তা কর্ণপাত করেনি শাসক-বিরোধী কোনও দলই। অভিযোগ উঠেছে মূলত কানাইপুর পঞ্চায়েত প্রধানের এবং তৃণমূল নেতা আচ্ছেলাল যাদব ও সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে।
 

স্থানীয়দের কথায়, সব দলের একই সমস্যা। ভোট এলে রাস্তার কিছু অংশে মেরামতি চলে কিন্তু ভোট মিটে গেলেই সেদিকে নজর থাকে না কোনও পক্ষেরই। এই রাস্তাটি জেলার বিভিন্ন অঞ্চলকে যুক্ত করেছে৷ এদিকে, গোটা বিষয়টি নিয়ে উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল সরাসরি কানাইপুর পঞ্চায়েত প্রধান ও তৃণমূল নেতা আচ্ছেলাল যাদব বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়ক বলেন, পঞ্চায়েত প্রধান যদি চাইতেন তাহলে এই রাস্তা অনেকদিন আগেই সংস্কার হয়ে যেত।
 

পাশাপাশি, উত্তরপাড়া থেকে বিজেপি প্রার্থী হওয়া প্রবীর ঘোষাল এও বলেন, "আমার তৃণমূল থেকে বিচ্ছেদের প্রধান কারণ এই রাস্তা সংস্কার না হওয়া"।  অন্যদিকে প্রবীর ঘোষাল অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছেন পঞ্চায়েত প্রধান আচ্ছেলাল যাদব। তাঁর কথায় দলত্যাগী বিধায়ক একজন সুযোগ সন্ধানী এবং ব্যর্থ মানুষ। ৫ বছর এলাকার বিধায়ক পদ ভোগ করেছেন। কিন্তু রাস্তা সংস্কারের জন্য কোনও দরবার করেননি।
 

পঞ্চায়েত প্রধান আচ্ছেলাল যাদব বলেন এই রাস্তা ঠিক করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের পিডাব্লিউডি বিভাগের এবং হুগলি জেলা পরিষদের৷ বর্তমানে তৃণমূল নেতা নিজের প্রচেষ্টায় এই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করার উদ্যোগী হয়েছেন এবং রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দরবার করে রাস্তা সংস্কার কাজ আদায় করে নিয়েছেন। পঞ্চায়েত প্রধান আশ্বাস দেন যে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে রাস্তা ঠিক করার কাজ সম্পূর্ণ ভাবে হয়ে যাবে।