প্রায় ত্রিশ বছর বাদে নিজের আঁতুড়ঘর থেকে আধুনিকতার হাত ধরে যাত্রা শুরু করলো উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী ট্রেন তিস্তা-তোর্ষা (Teesta Torsa Express)। কু ঝিক, ঝিক আওয়াজ তুলে আকাশে কয়লার ধোঁয়া উড়িয়ে চলা সেই ট্রেন আজ হেরিটেজ। ধিরে ধিরে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিচ্ছে ডিজেল চালিত ট্রেনের ইঞ্জিন।
বৃহস্পতিবার থেকেই দেশের অন্যান্য আধুনিক ট্রেনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনের দ্বারা পথ চলা শুরু করলো উত্তরবঙ্গের (North Bengal) ঐতিহ্যবাহী ট্রেন তিস্তা-তোর্সা। যদিও গত আট মাস আগে থেকেই এই ট্রেনটি নিউকোচবিহার স্টেশন থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনের দ্বারা চলাচল করতো।
তবে নিজের আঁতুড়ঘর থেকে আধুনিক হওয়ার ছাড়পত্র মিললো আট মাস বাদে। ১৯৯২ সালের পয়লা জুলাই তৎকালীন ভারতীয় রেলমন্ত্রী, সিকে জাফর শরিফের জমানায় একই দিনে দুই পৃথক সময়ে নিউআলিপুরদুয়ার (New Alipurdua) এবং শিয়ালদহ থেকে যাত্রা শুরু করে তিস্তাতোর্ষা এক্সপ্রেস।
সেই জামানায় দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের প্রান্তীক জেলাগুলোর যোগাযোগের লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত ছিল এই ট্রেনটি। উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে একটা আবেগের নাম এই তিস্তা-তোর্ষা এক্সপ্রেস।
শিয়ালদহ থেকে নিউআলিপুরদুয়ার পর্যন্ত ১৭ ঘন্টা ৩৫ মিনিটের এই যাত্রাপথের দূরত্ব ৭১৯ কিলোমিটার। উত্তরবঙ্গের দুই প্রসিদ্ধ নদী তিস্তা ও তোর্ষা নদীর নামে ট্রেনটির নামকরণ করা হয়।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের তরফে রেল যাত্রীদের জন্য আরও একটি খুশির খবর জানান হয়েছে।