২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যে এসে বিধানসভার ঢাকে কাঠি দিলেন অমিত শাহ। পেট্রাপোল বন্দরের অত্যাধুনিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের উদ্বোধন করে শাহ বললেন,'অচ্ছে দিন আর বেশি দূরে নেই। ২০২৬ থেকেই শুরু হয়ে যাবে অচ্ছে দিন'। সেই সঙ্গে তাঁর বার্তা, কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না বাংলার মানুষ। কিন্তু আক্ষেপ করবেন না। ২০২৬ সালের ভোটে বিজেপি সরকার আসবে।
বনগাঁয় দাঁড়িয়ে আরও একবার অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গও এসেছে শাহের মুখে। তিনি বলেন,'বাংলাদেশ থেকে ৫-৬ হাজার লোক এখানে আসেন চিকিৎসা করাতে। কল্যাণী এইমসে আসেন তাঁরা। এতে অর্থনীতির উপকার হয়। কিন্তু, অবৈধ আসা-যাওয়া হলে বাংলার শান্তি বিঘ্নিত হয়। ২৬ সালে পরিবর্তন করুন। এই অনুপ্রবেশ আটকে দেব। বাংলায় শান্তি ফিরবে অনুপ্রবেশ বন্ধ হলেই'।
বাংলার উন্নয়নে বদ্ধপরিকর নরেন্দ্র মোদী বলে দাবি করে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ইউপিএ-র জমানার সঙ্গে মোদীর ১০ বছরে বাংলার জন্য বরাদ্দের হিসেব দেন। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দেন, ইউপিএ সরকারে মন্ত্রিত্বে ছিল তৃণমূল সরকার।
এ দিন শাহ বলেন,'ইন্ডি জোটের সদস্য, এমনকি মন্ত্রীও ছিলেন মমতাদিদি। আপনি মন্ত্রী থাকাকালীন ইউপিএ সরকার বাংলাকে কী দিয়েছিল? উনি জবাব দেন না। আমি উত্তর নিয়ে এসেছি। ইউপিএ সরকার ১০ বছরে বাংলাকে দিয়েছিল ২ লক্ষ ৯ হাজার কোটি টাকা। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদী দিয়েছে ৭ লক্ষ ৭৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। কিন্তু মোদীজি যে টাকা পাঠান, সেটা দুর্নীতির শিকার হয়। আমি আপনাদের বলতে চাই, অচ্ছে দিন আর বেশি দূর নেই। ২০২৬ সালে বিধানসভা গণনার পরই অচ্ছে দিন শুরু হয়ে যাবে'।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বঞ্চনার অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গ তুলে শাহ জানান,'১০০ দিনের কাজে ১৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল ইউপিএ। ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদীর সরকার দিয়েছে ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা লাভ্যার্থীদের কাছে পৌঁছয় না, তৃণমূল কর্মীদের কাছে গিয়েছে। আপনাদের সময়ে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় ৫৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র। আমরা দিয়েছি ১৭ হাজার কোটি টাকা। আপনারা কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকার সময় আবাস যোজনায় বাংলা পেয়েছিল ৪৫০০ কোটি টাকা। ৫০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী'।