scorecardresearch
 

Arabul Islam: জেল থেকে বেরলেন ভাঙড়ের আরাবুল, মালা পরিয়ে বরণ, বলছেন, '১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করি... '

জামিন পেয়ে জেল থেকে ছাড়া পেলেন আরাবুল ইসলাম। মঙ্গলবার হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দেয়। বুধবার বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ জেল থেকে ছাড়া পান আরাবুল।

Advertisement
জামিন পেয়ে জেল থেকে ছাড়া পেলেন আরাবুল ইসলাম জামিন পেয়ে জেল থেকে ছাড়া পেলেন আরাবুল ইসলাম
হাইলাইটস
  • জামিন পেয়ে জেল থেকে ছাড়া পেলেন আরাবুল ইসলাম
  • বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ জেল থেকে ছাড়া পান আরাবুল

জামিন পেয়ে জেল থেকে ছাড়া পেলেন আরাবুল ইসলাম। মঙ্গলবার হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দেয়। বুধবার বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ জেল থেকে ছাড়া পান আরাবুল। ছেলে হাকিমুল ইসলাম তাঁকে নিয়ে যেতে এসেছিলেন। এছাড়াও আরাবুলের বহু অনুগামী এসেছিলেন সংশোধনাগারের সামনে। আরাবুল বের হতেই তাঁকে মালা পরিয়ে বরণ করে নেন তাঁরা। আরাবুলের নামে স্লোগানও দেওয়া হয়।

আরাবুলের বিরুদ্ধে খুন-সহ ৯টি মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। পরে বেশ কয়েকটি ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে নাম ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়কের। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিক বার তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন আরাবুল। অবশেষে মঙ্গলবার হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করে।

জেল থেকে বেরিয়ে আরাবুল ইসলাম বলেন, 'আমি ভাঙড়ের মানুষের শান্তি চাই। সকলে সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সুস্থ থাকুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুস্থ থাকুন। তাঁরাই আমার নেতা নেত্রী। ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল দল করি, তৃণমূল দলই করব।' তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা খুনের চক্রান্ত করার অভিযোগও সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন আরাবুল। জেল থেকে বেরিয়ে এবার কী করবেন? এই প্রশ্নে আরাবুল জানান যে দলীয় কর্মীদের সঙ্গী, অনুগামীদের সঙ্গে কথা বলেই আগামী দিনের পদক্ষেপ ঠিক করবেন।

কয়েকদিন আগেই ভাঙড়ের সভা থেকে আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে খুনের চক্রান্তের অভিযোগ করেন ক্যানিংয়ের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী খইরুলকে খুনের চক্রান্ত করেছিলেন আরাবুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'ভাঙড় আমার চেনা ছিল না। আস্তে আস্তে চিনছিলাম। খইরুলকে খুন করার পরিকল্পনা হয়ে গিয়েছিল, আমরা কিছুই জানি না। একদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে বললেন, ভাঙড়ে নেতাগিরি করছো? ওখানে একজন প্রধান আছেন, তাঁর স্বামীর নাম খইরুল, তাঁকে খুন করার জন্য ১৮ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে। তুমি যে এত আরাবুল আরাবুল করো, সেই আরাবুলই এই ঘটনার মূল নায়ক। এটা আমার উপর ছেড়ে দাও। সেটা শোনার পর আমি কোনও কারণে দিল্লি গিয়েছিলাম। তখনই আরাবুল গ্রেফতার হয়ে যায়।'

Advertisement

Advertisement