দুর্গাপুজো মণ্ডপে বাজল আজান। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু বিতর্ক। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির উত্তরপাড়ার একটি ক্লাবে। পুজোর সন্ধ্যায় মণ্ডপে কেন আজান বাজবে, এই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উত্তরপাড়াবাসীর একাংশ। যদিও অনেকের বক্তব্য, দুর্গাপুজো একটি উত্সব। এখানে সব ধর্মের মানুষই সামিল হন। তাই বিতর্কের কিছু নেই।
ঠিক কী ঘটেছে?
উত্তরপাড়ার মৌসুমী ক্লাবের পুজোর ঘটনা। সপ্তমী, অষ্টমীর সন্ধ্যায় মৌসুমী ক্লাবের মণ্ডপে বাজানো হয় আজান। আজান হল মসজিদে জামাতে নমাজ আদায়ের জন্য ইসলামি আহ্বান বা ডাকধ্বনি। দিনের নির্ধারিত সময়ে একজন মুয়াজ্জিন আজান পাঠ করেন। ঐতিহ্যগতভাবে মুসলমানদের সারাদিনে পাঁচবার নমাজের জন্য দৈনিক পাঁচবার মিনার থেকে উচ্চস্বরে আজান দেওয়া হয়। ঈশ্বরকে ডাকার আরও একটি পথ আজান।
থানায় বিক্ষোভ বিজেপি-র
ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, এ বছর তাদের পুজোর থিমই হল সর্বধর্ম সমন্বয়। সেই থিম বজায় রাখতেই আজানের ধ্বনি বাজানো হয়েছে মণ্ডপে। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, দুর্গাপুজোয় আজান বাজিয়ে হিন্দুধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে উত্তরপাড়া থানায় এই বিষয়ে বিক্ষোভ দেখায় এবং অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা প্রণয় রায়।
আমল দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস
যদিও উত্তরপাড়ার তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিজেপির কোনও জনসংযোগ নেই। হুগলি জেলায় তৃণমূলের অন্যতম সম্পাদক সন্দীপ দাসের কথায়, উত্তরপাড়ায় ১৪০টি পুজো হয়। তারা কোনও পুজো অথবা ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত না । তাদের কোন কাজ নেই তাই উৎসবের সময় মানুষকে বিরক্ত করতে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ।
দুর্গাপুজো মণ্ডপে আজান নিয়ে ২০১৯ সালেও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সে বার বিতর্কে জড়ায় বেলেঘাটার একটি পুজো। বেলেঘাটার একটি দুর্গাপুজোর মণ্ডপে থিম সঙ্গীত হিসেবে কেন সংস্কৃত স্তবকের সঙ্গে আজান বাজানো হয়েছে এই নিয়ে বিতর্ক গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সেই পুজোরও কর্তারা জানিয়েছিলেন, কমিটি দ্বারা নির্বাচিত ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি' থিমকে মাথায় রেখেই ওই আজান ব্যবহৃত হয়েছে মণ্ডপে।