ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালের মধ্যে পরিত্যক্ত ঘরে রাখা হচ্ছে গরু। ভাবতে পারেন? কিন্তু কার মদতে চলছে এই কাজ? এই ঘরের মধ্যে রয়েছে গরুর খাবারও। সেই ছবি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এই হাসপাতাল দেখলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন, আপনার প্রশ্ন থাকবে এটা হাসপাতাল নাকি কোনও গোয়াল ঘর। এই ছবিটি হাওড়ার ডোমজুড়ের। গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে চলছে নাকি অবৈধ খাটাল!
বস্তা বস্তা গরুর খাবার মজুত করা রয়েছে
জানা গিয়েছে, মূল হাসপাতাল বিল্ডিংয়ের পিছনে পাঁচিল লাগোয়া সেমিনার হলের সামনে রয়েছে বেশ কয়েকটি পরিত্যক্ত ঘর। সেই ঘরের একটিতে গরু বাঁধা রয়েছে এবং অন্য ঘরে বস্তা বস্তা গরুর খাবার মজুত করা রয়েছে। জানা গেছে চার পাঁচটি গরু নিয়ে ওই খাটাল ব্যবসা চালান স্থানীয় যুবক শেখ সাহেব। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের বাইরে গোয়ালঘর থাকলেও সামনে দেওয়ালে টিন দিয়ে একটি দরজা করা হয়েছে। সেই দরজার চাবি এবং তালা হাসপাতালের কারোর কাছে থাকে না, থাকে খাটাল মালিক শেখ সাহেবের কাছে। গরু চরানোর জন্য তিনি সকালে দরজা খুলে হাসপাতাল চত্বরে গরু ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সারাদিন মাঠেই গরু ঘুরে বেরায়। এছাড়াও পরিত্যক্ত ঘরে গরু রাখার পাশাপাশি তাদের খাবারও মজুদ করে রাখা হয়েছে। শেখ সাহেব স্বীকার করেছেন তিনি খাটাল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। টিনের দরজা ময়লা ফেলার জন্য তৈরি হলেও তালা এবং চাবি তার কাছে থাকে। তিনি দরজা খুলে গরু রাখেন হাসপাতাল চত্বরে।
হাসপাতালের বাইরে খাটাল
ডোমজুড়ের ব্লক মেডিক্যাল অফিসার হেলথ জানিয়েছেন, এ বছরের জুলাই মাসে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর হাসপাতালের বাইরে খাটাল দেখেছিলেন। সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন কিন্তু হাসপাতালে গরু চড়ে কিনা তার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে আবার জানাবেন।
কী বলছেন মন্ত্রী অরূপ রায়?
তবে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে আগেই তিনি বিডিও, জেলাশাসক এবং পুলিশকে চিঠি দিয়েছিলেন। এই ব্যাপারটা নিয়েও তিনি কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন। তিনি আরও দাবি করেন আর জি কর কাণ্ডের পরে হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি হাসপাতালের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, হাসপাতাল মানুষের চিকিৎসার জন্য। গরু রাখার জায়গা নয়।তাই এবিষয়ে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া তা দেখা হবে। সব মিলিয়ে এই গোটা বিষয়ে এবার কী পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন সেটাই দেখার।
রিপোর্টার: বৈদ্যনাথ ঝা