ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সংসদ অর্জুন সিংকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ। শুক্রবার সকালে জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন অর্জুন সিং। অভিযোগ, আচমকা তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। এছাড়াও বোমা ছোড়া হয়। বোমার স্ল্পিন্টারের আঘাত তাঁর পায়ে লেগেছে বলে দাবি করেছেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ। ঘটনায় অভিযোগের তির স্থানীয় তৃণমূল নেতা নমিত সিং ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে।
ঘটনার পরেই এলাকায় গিয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এলাকা উত্তপ্ত থাকায় পুলিশি টহল চলছে।
এই বিষয়ে অর্জুন বলেন, 'আমার সিকিউরিটিদের ওপরে হামলা করেছে। ইট-পাথর-গুলি-বোম সব চালিয়েছে। আমার পায়ে লেগেছে। নমিত সিং জেহাদিদের নিয়ে পুরো হামলাটা করেছে। পুলিশের সামনেই হয়েছে সব, পুলিশ এখানে উপস্থিত। পুলিশ দিয়ে কী লাভ। পুলিশ আর ক্যামেরা আছে আমাদের ওপরে হামলা করানোর জন্য। ক্যামেরাতে সব ধরা পড়ে কী হবে। ১০০ শতাংশ খুন করার চক্রান্ত। সকাল সকাল না হলে কেন হামলা করা হল। সকাল সকাল তো মারার জন্য হামলা হয়। অমিত শাহকে জানাব। মানুষকে নিয়ে লড়াই করতে হবে।'
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অর্জুন। বিজেপি তাঁকেই প্রার্থী করে। যদিও তৃণমূলের পার্থ ভৌমিকের কাছে তাঁকে হারতে হয়। ২০২১ সালেও অর্জুনের বাড়ি মজদুর ভবনে হামলা, বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছিল এনআইএ!
সম্প্রতি কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন অর্জুন। তিনি বলেন, ‘প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের থেকেও বিপজ্জনক মনোজ ভার্মা। সিপিএমের জামানায় তৃণমূলকে খুন করাতেন জঙ্গলমহলে। তারপর ব্যারাকপুরে চার বছর থেকে গুন্ডা তৈরি করেছেন। তাঁরা কেউ এখন কাউন্সিলর, কেউ বিধায়ক, কেউ চেয়ারম্যান হয়েছেন। ২০১৯ সালে ব্যারাকপুরে পুলিশকে দিয়ে দুজন নিরীহ ছেলেকে গুলি করিয়েছেন।’ তাঁর আরও দাবি, ‘মনোজ ভার্মা অদ্ভুত ক্যারেক্টার। এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মনোজ ভার্মাকে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন।’