আরজি করের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদ চলছে গোটা রাজ্যে। এই আবহেই হরিপালে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। তবে পুলিশের দাবি,শরীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। ছাত্রীর বয়ানেও রয়েছে একাধিক অসঙ্গতি। এদিকে, হরিপাল থানার সামনে এ দিন বিক্ষোভ দেখান ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই কর্মীরা।
শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ হরিপাল থানার কাছে মহাদেব কোল্ড স্টোরেজের উল্টোদিকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়েছিল ওই নাবালিকা। তার পোশাকও ছেঁড়া ছিল। পাড়ার মহিলারা খবর পেয়ে নাবালিকাকে পোশাক পরান। পরিচয় ও ঠিকানার জানার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পুলিশ কর্তারা। নাবালিকাকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে। জ্ঞান ফেরার পর ওই ছাত্রী জানায়, স্কুল শেষে সিঙ্গুরে স্যারের বাড়িতে টিউশনে গিয়েছিল। বাড়ি ফেরার সময় তাকে জোর করে সাদা চার চাকার গাড়িতে তোলে চারজন দুষ্কৃতী। কাউকে বললে তার মায়ের ক্ষতি করে দেবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়।
ওই নাবালিকা জানায়, গাড়িতে করে নিয়ে এসে তাকে হরিপাল স্টেশনে নামিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। বাজারের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যেতে বলে। তাদের নির্দেশে নির্যাতিতা নাবালিকা হরিপাল বাজার দিয়ে হাঁটতে শুরু করে। ওই নাবালিকা বলে,'বুঝতে পারছিলাম একজন আমাকে ফলো করছে। কোল্ড স্টোরেজের কাছাকাছি আসতেই ওই ছেলেটা আমার হাত ধরে টেনে অন্ধকারে নিয়ে যায়। বাকি ছেলেগুলোও ছিল সেখানে'। অভিযোগ, তার হাত ধরে টেনে হিঁচড়ে মারতে থাকে দুষ্কৃতীরা। পোশাক ছিঁড়ে যৌন হয়রানি করা হয়। এরপরে চারচাকায় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
Reference an alleged sexual assault of a minor girl at Haripal yesterday evening.
Investigation till now, including the medico legal opinion, has revealed that there are no suspects at this stage.
Request to respect the privacy of the girl child and her family. Stern legal…আরও পড়ুন
— West Bengal Police (@WBPolice) September 7, 2024Advertisement
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সুপার কামনাশিস সেন জানান, নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।