ভাঙড়ে যাওয়ার পথে আটকানো হল নওশাদ সিদ্দিকিকে। রাজারহাট-নিউটাউনের পর হাতিশালায় ভাঙড়ের বিধায়ককে আটকায় পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই তিনি সেখানে যেতে পারবেন না। গতকাল তৃণমূলের শওকত মোল্লা ও আরাবুল ইসলামকে ভাঙড়ে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। বারবার পুলিশ তাঁকে ভাঙড়ে যেতে বাধা দেওয়াতে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নওশাদ।
তিনি বলেন, 'ভাঙড় এলাকার ভোটার না হয়েও কীভাবে এলাকায় ঢুকছেন শওকত মোল্লা। তিনি রাজনৈতিক সভাও করছেন। বিচারিতা করছে পুলিশ। ১৪৪ ধারার কথা বলে অবৈধভাবে আটকানো হচ্ছে।'
পঞ্চায়েত ভোট পর্বের শুরু থেকেই অশান্তির আগুনে পুড়ছে ভাঙড়। রাজনৈতিক সংঘর্ষে একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভোটের পরও থেমে থামেনি অশান্তি। ফল ঘোষণার রাত থেকে আবারও নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে। পুলিশের দাবি, সেই কারণেই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা না হলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ভাঙড়ের বিধায়ক হলেও নওশাদ সিদ্দিকির বাড়ি ওখানে নয়। তাই এলাকার ভোটার না হওয়ার কারণে তাঁকেও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ তাতে নতুন করে অশান্তি মাথাচাড়া দিতে পারে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাঙড়ে নিজের গ্রামেই হেরেছেন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আরাবুল ইসলাম। পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের ২৪টি আসনের মধ্যে ২৩টিতেই জিতেছে বিরোধী জোট। আইএসএফ ও জমি রক্ষা কমিটির জোটের কাছে হেরেছে শাসক দল। ভাঙড়ে তৃণমূলের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতেই কঠিন লড়াই দিয়েছে বিরোধীরা।