সোনারপুরে মহিলাদের ওপরে অত্যাচারের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জামালউদ্দিন সর্দারের পেল্লাই বাড়ি। অন্যের জমি হাতিয়েই এই প্রাসাদোপম বাড়ি জামাল তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। সোনারপুরের প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাঙ্গুরে বাড়ি জামালউদ্দিন সর্দারের। স্থানীয়দের প্রশ্ন, কোনও কাজ না করেই কী করে এই বাড়ি বানাল জামাল?
জামালের তিনতলা বাড়িটি হলুদ-নীল রং করা। বাড়ির চারিদিকে উঁচু পাঁচিল দেওয়া। বিরাট গেট খুলে ভিতরে প্রবেশ করলেই দেখতে পাবেন মাঝে ঝাঁ চকচকে সরু রাস্তা, তার দু’ধারে বাহারি গাছ। ভিতরে বাড়ির আরেকটা অংশ রয়েছে।
ভিতর ও বাইরে মিলিয়ে মোট ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে বাড়িতে। বাড়ির মধ্যে রয়েছে পুল, তাতে চড়ে বেড়াচ্ছে কচ্ছপ।
জানা গিয়েছে, জামালের একটি সাধের ঘোড়া রয়েছে। সেই ঘোড়া দেখাশোনা করতে মাসে ১০ হাজার টাকা লোক রাখা হয়েছে। তাঁর নাম শাহজাহান মল্লিক। আরও ৭ জন বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন।
মঙ্গলবার প্রথম সোনারপুরের এই জামালউদ্দিন সর্দারের খবর প্রকাশ্যে আসে। সালিশি সভার প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতে শিকলে বেঁধে মহিলাদের অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়াও, এলাকায় জমিজমা কেনাবেচা বা এলাকায় দাম্পত্য কলহ থেকে পারিবারিক সমস্যা সবকিছুরই সমাধান জামাল ছাড়া হয় না বলেই দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁর বাড়িতেই সালিশি সভা বসিয়ে বিচার চলত। সালিশি সভার প্রস্তাবে রাজি না হলেই অত্যাচার চালানো হত। যার হাত থেকে রক্ষা পেতেন না মহিলারাও। সোনারপুর থানার পুলিশের সঙ্গেও তাঁর বিরাট দহরম মহরম। সেই ভয় দেখিয়েই এলাকায় শাসন কায়েম করতেন জামাল।
শিকলে বেঁধে মারধরের ঘটনায় মঙ্গলবারই মুজিদ খাঁ এবং অরবিন্দ সর্দার নামে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও এখনও জামালউদ্দিনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলের নেতা বলেই জামালকে পুলিশ এখনও ধরেনি। যদিও তৃণমূলের সঙ্গে জামালের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। একই কথা বলেছেন এলাকার বিধায়ক লাভলি মৈত্রও।