কৃষ্ণনগরে তরুণীকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগের তদন্তে এবার বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করল রাজ্য পুলিশ। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে সিআইডি-র। তবে তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেনিয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। পুলিশের উপর তাঁর আস্থা নেই বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা। তিনি সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন। এদিকে, পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রেমিকের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন ওই তরুণী। টাকা ফেরত চাইছিলেন যুবক। সেনিয়েই বচসা হতে পারে।
বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরে অর্ধনগ্ন-অর্ধদগ্ধ তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, প্রেমিক ও তার দলবল গণধর্ষণ করে খুন করেছে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি জেরায় উঠে এসেছে, প্রেমিকের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল ওই ছাত্রী। সেই টাকা ফেরত চাইছিলেন যুবক। জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে,'ওর সঙ্গে আমার সারাদিন দেখা হয়নি। ফোনে কথা হয়েছিল। রাতে কলেজ মাঠে আমরা দুজন বন্ধু ছিলাম। আমি ওকে ডেকে পাঠাইনি। ওর সঙ্গে দেখা করার জন্য কলেজ মাঠে গিয়েছিলাম। তবে দেখা হয়নি। ফোনে ও বলেছিল, আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখিস না'।
বৃহস্পতিবার কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়ছেন সুপ্রতিম সরকার। পরিবারই এই দাবি করেছিল। এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) বলেন,'আমরাই এ নিয়ে আদালতে আবেদন করি। আদালত মঞ্জুর করেছে। বৃহস্পতিবার কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত চলছে'। পরিবারের অভিযোগ, গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এনিয়ে বলা যাবে না বলে জানান সুপ্রতিম।
সুপ্রতিম আরও জানান,'ঘটনার তদন্তের জন্য সিট গঠন করা হয়েছে। সিটের নেতৃত্বে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে। সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। সিআইডির সাহায্য নিচ্ছি। ঘটনাস্থলে দল নিয়ে এডিজি (সিআইডি) গিয়েছেন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞেরাও আছেন। আমরা আশাবাদী, সত্য প্রকাশ পাবে'।
পুলিশ চাপ দিয়ে কাগজপত্র সই করিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তরুণীর মা। এই প্রসঙ্গে এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) বলেন,'পরিবার এখন শোকগ্রস্ত। সন্তান হারিয়েছেন তাঁরা। এটা মর্মান্তিক ঘটনা। তাঁদের দাবির প্রতি পূর্ণ মর্যাদা রয়েছে'।