ভাঙড় কলেজ মাঠে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। শাসকদলের আয়োজিত এই বিজয়া সম্মিলনীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ISF-র নেতাকে, কিন্তু দলেরই এককালের হেভিওয়েট নেতা আমন্ত্রণ পেলেন না। আগামী ২৭ অক্টোবর, রবিবার এই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। TMC-র বিজয়া সম্মিলনীতে নওশাদ সিদ্দিকীকে আমন্ত্রণ জানানো হল। কিন্তু বাদ পড়লেন আরাবুল ইসলাম।
জানা গিয়েছে, ২৭ অক্টোবরের এই বিজয়া সম্মিলনীতে নওশাদকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শওকত মোল্লা। কিন্তু আরাবুল ইসলামকে কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে এই প্রসঙ্গে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক জানান, 'ওঁর কথা বলবেন না। আমি জানি না।' পাশাপাশি আগামী বিধানসভা উপনির্বাচনে BJP-র সঙ্গে ISF-কে একসঙ্গে লড়ার জন্য বলেছেন BJP-র শঙ্কর ঘোষ। তাঁর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শওকত মোল্লা বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম ISF আসলে BJP-র দালাল। এক সঙ্গে লড়লে কিছুই করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, প্রায় ছয় মাস পর জেল থেকে বেরিয়েও ভাঙড়ের ‘তাজা নেতা’ আরাবুল ইসলাম দলের অন্দরেই কোণঠাসা। গত সেপ্টেম্বরে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে পাশে নিয়ে প্রকাশ্য সভা থেকে আরাবুলকে নিশানা করেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ। তিনি জানান, ভাঙড়ে তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য শওকতের ভূমিকা প্রশ্নাতীত। শওকতের গ্রহণযোগ্যতা মেনে নিতে যদি কারও কষ্ট হয়, সেটা একান্তই তাঁর সমস্যা। পাশাপাশি নাম না করে আরাবুল তথা তৃণমূলের একাংশকে ‘ঘরশত্রু বিভীষণ’, ‘গদ্দার’ বলেও আক্রমণ করেন সায়নী।