সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপরে হামলার ঘটনায় মোট তিনটে এফআইআর করল পুলিশ। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতির তদন্তে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে যায় ইডি। যদিও তিনি সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। তৃণমূল নেতার বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করায় ইডি আধিকারিকরা হামলার মুখে পড়েন। অভিযোগের তির স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ও সমর্থকদের দিকে। জানা গিয়েছে, গতকাল ইডি অফিসারদের সঙ্গে মাত্র ২৭ জন সিআরপিএফ কর্মী ছিলেন। হামলায় তিন ইডি কর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ইডি আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে আক্রমণের সময় জনতা তাঁদের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, নগদ এবং মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পুলিশ এই ঘটনায় তিনটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।
কংগ্রেস বলেছে- বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত
এই ঘটনার পর একদিকে যেখানে বিরোধীরা রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানিয়েছে, অন্যদিকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি সমস্ত সাংবিধানিক বিকল্প বিবেচনা করবেন এবং এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি জানিয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, 'ইডি অফিসারদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার জন্য এটি একটি উপযুক্ত মামলা। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ।'
বিজেপি কী বলছে?
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সন্দেশখালির ঘটনাটিকে ফেডারেল কাঠামোর উপর সরাসরি আক্রমণ হিসাবে বর্ণনা করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিম জং-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। ইডি টিমের ওপর হামলার বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, এতে রোহিঙ্গাদের হাত রয়েছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও বাঙালিদের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। ইডি হামলার বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক রাজ্যের ফেডারেল কাঠামোর ওপর আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন।
যদিও তৃণমূল পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে। তারা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার কর্তারা স্থানীয় জনগণকে উস্কে দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে যখন ইডি কর্তারা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানের বাসভবনে অভিযান চালায় এবং শাহজাহানের সমর্থকদের আক্রমণের সম্মুখীন হন। সমর্থকরা অফিসারদের মারধর ও তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করে।