'ছেলেকে পাশ করিয়ে দাও মা'। জগদ্ধাত্রীর কাছে এটাই চাওয়া হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হুগলির চুঁচুড়ায় দলীয় বিধায়ক তপন দাশগুপ্তের পুজোয় হাজির হন তিনি। উল্লেখ্য, ৩১ বছর আগে এই পুজোর সূচনা হয়েছিল তৎকালীন বিরোধী নেত্রী এবং অধুনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। গতবছর পুজোয় এসেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় শামিল হলেন এলাকার সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান,'ভোট প্রচারে চন্দননগরে এসেছি। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী দেখা হয়নি। ইচ্ছা আছে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী দেখার'।
আগামী বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে রচনার ছেলে প্রণীল বসু। তাই পুত্রের জন্য দেবীর কাছের প্রার্থনা করলেন মা। তিনি বলেন, 'যে মানুষেরা আমার উপর আস্থা রাখে, যাঁরা আমাকে ভোট দিয়ে আমার উপর ভরসা রেখে জিতিয়েছে, তাঁদের পাশে থাকা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই আমি হুগলিতে এসেছি'। যোগ করলেন,'আগে কোনওদিনও চন্দননগরে আসা হয়নি। তবে এবার একটু বেশি আসা হবে, যেহেতু আমি সাংসদ'।
হুগলির চুঁচুড়ার বড়বাজারের চুঁচুড়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের জগদ্ধাত্রী পুজোমণ্ডপ জনসাধারণের জন্য খুলে গিয়েছে মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর থেকেই। এই পুজোর ফিতে কাটেন রচনা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক। দেবীর কাছে দলনেত্রী ও অভিষেকের জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেন,'মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়- দু'জনের সুস্বাস্থ্য কামনা করেছি মায়ের কাছে'।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে হুগলির সাংসদ হন তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিদি নম্বর ওয়ান-এর সূত্রে ঘরে ঘরে পৌঁছে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।
সংবাদদাতা- ভোলানাথ সাহা