অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে কেক কেটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন পালন করলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। সতীপীঠের অন্যতম কংকালীতলা মন্দিরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে পুজোও দেন কাজল ৷ পরে মন্দির প্রাঙ্গনে ১১টি কেক কাটেন ৷ সঙ্গে ছিলেন নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি-সহ অন্যরা। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, অনুব্রত ফিরতেই বীরভূমে কাজল-কেষ্ট ঠান্ডা লড়াই আরও ক্রমণ জোরাল হচ্ছে। বিশেষ করে বোলপুর পুরসভা সংলগ্ন কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত কার দখলে থাকবে তা নিয়ে।
বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন, 'আমাদের দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন ৷ তাঁর সমৃদ্ধি কামনায় সতীপীঠ কংকালীতলা মন্দিরে পুজো দিলাম ৷ কেক কেটে সকলকে খাওয়ালাম ৷ আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক।' ঠান্ডা লড়াই প্রসঙ্গে কাজল শেখ বলেন, 'আমাদের মধ্যে কোনও ঠান্ডা লড়াই নেই ৷ তৃণমূল দলটা চলে মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে৷ আমি সকলকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ভাবে চলছি ৷ সকলকে নিয়ে চলতে চাই ৷ ঠান্ডা লড়াই যে বা যারা করছে, সেটা তাঁদের ব্যাপার৷'
জামিন পেয়ে প্রায় ২ বছর পর বীরভূম জেলায় ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে তাঁর অনুপস্থিতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সাংগঠনিক হাল ধরার জন্য কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। যার কারণে প্রত্যাবর্তনের পরেও বীরভূমের ব্যাটন সম্পূর্ণ কেষ্টর হাতে নেই ৷ কারণ কোর কমিটি এখনও বিদ্যমান। অন্যদিকে, বোলপুর পুরসভা সংলগ্ন কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত ৷ তাই এই গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের হাতে থাকবে নাকি জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল ঘনিষ্ঠদের হাতে থাকবে, তা নিয়ে লড়াই তুঙ্গে৷ সূত্রের খবর, বীরভূমের কোর কমিটি আয়তনে বাড়াতে চান অনুব্রত। চান, কমপক্ষে ১৫ জন সদস্য করা হোক কোর কমিটিতে। আর এই ইচ্ছের কথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাতে চান তিনি। সূত্রের খবর, অভিষেকও কোর কমিটি রেখে দেওয়ার পক্ষেই।
এই বিষয়ে কাজল বলেন, 'উনি যেহেতু মন্তব্য করেছেন, তাই উত্তরটা তাঁরই দেওয়া উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোর কমিটি তৈরি করেছেন। তাঁর ওপরে কথা বলার ক্ষমতা আমার নেই। বীরভূম জেলার দায়িত্বে দলনেত্রী স্বয়ং আছেন।'
সংবাদদাতা: শান্তনু হাজরা