scorecardresearch
 

Bhatpara TMCP Leader: পিস্তল হাতে সেলফি, TMC ছাত্রনেতার ছবি-ভিডিও VIRAL

বাগদার পর এবার ভাটপাড়া, আবারও বন্দুক হাতে এক তৃণমূল নেতার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাটপাড়ার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শুভাশিস চক্রবর্তী নামে ওই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওক নেতার ভাইরাল ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

Advertisement
পিস্তল হাতে সেলফি, TMC ছাত্রনেতার ছবি-ভিডিও VIRAL পিস্তল হাতে সেলফি, TMC ছাত্রনেতার ছবি-ভিডিও VIRAL
হাইলাইটস
  • বন্দুক হাতে এক তৃণমূল নেতার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
  • যদিও তৃণমূল দাবি করছে, শুভাশিস দলের কোনও সংগঠনের কোনও পদে নেই

বাগদার পর এবার ভাটপাড়া, আবারও বন্দুক হাতে এক তৃণমূল নেতার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাটপাড়ার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শুভাশিস চক্রবর্তী নামে ওই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওক নেতার ভাইরাল ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই ছাত্র নেতা এর আগে অসামাজিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। ছবি বা ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি Bangla.aajtak.in। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, ওই ছাত্রনেতার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র এল কীভাবে? যদিও তৃণমূল দাবি করছে, শুভাশিস দলের কোনও সংগঠনের কোনও পদে নেই।

ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, 'ছবি ও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে পুলিশ পদক্ষেপ করবে। ছাত্র পরিষদের কোনও পদেও নেই শুভাশিস। একজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে পুলিশ যে ভাবে পদক্ষেপ করে ওর বিরুদ্ধেও তাই করবে।' তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের সঙ্গেও শুভাশিসের ছবি দেখা গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে তৃণাঙ্কুরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে তৃণমূলের বক্তব্য, রাজনৈতিক নেতাদের অনেকের সঙ্গেই ছবি তুলতে হয়। তৃণাঙ্কুরের সঙ্গে ওর ছবি আছে মানেই শুভাশিস বড় নেতা নয়।

এই ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। তিনি বলেন, 'তৃণমূল করলে বন্দুক হাতে নিয়ে ঘোরার লাইসেন্স পাওয়া যায়। তাই পুলিশ এদের কিছু বলে না। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। সব জায়গায় একই ছবি দেখা যাচ্ছে।'

কয়েকদিন আগেই বাগদায় পুলিশের পিস্তল হাতে নিয়ে তৃণমূল কর্মীর সেলফি তোলার ছবি ভাইরাল হয়। ঘটনাটি ঘটে বাগদা উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন। অভিযোগের তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপার। বাগদায় উপনির্বাচনের দিন পুলিশের ব্যবহৃত গাড়ির চালক ছিলেন তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত সোনাই ঘোষ ওরফে বাবাই। তাঁর বাড়ি বাগদা বিধানসভার মালিপোঁতা এলাকায়। ভোটের দিন দুপুরে বনগাঁ পুলিশ জেলার মহিলা থানার এক এএসআই-এর নাইন এমএম পিস্তলটি হাতে নিয়ে ছবি তোলেন তিনি। তারপর সেই ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। উপনির্বাচনের দিন বাগদার মালিপোঁতায় বুথ জ্যামের অভিযোগ করেছিল বিজেপি। আর সেখানেই এই ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

এই ঘটনায় ওই এএসআই-র বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপার। বিজেপির অভিযোগ, এই ঘটনা প্রমাণ করে শাসকদলের এই সমস্ত কাজ বন্ধে পুলিশ নিষ্ক্রিয়। যদিও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বলেছে, সোনাই ঘোষ ওরফে বাবাই বলে তাদের কোনও কর্মী ওই এলাকাতে নেই। ও আসলে বিজেপিরই লোক।

Advertisement