scorecardresearch
 

Notice To Asansol RSS Office: RSS-এর অফিস পুকুর ভরাট করে? মমতার নির্দেশের পর নোটিস পাঠাল প্রশাসন

আসানসোল পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাউথ ধাদকার জেসি বোস লেনে অবস্থিত আরএসএসের কার্যালয়টি। ওই তিনতলা বাড়িটি পুকুর ভরাট করে তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন,'ল্যান্ড রেকর্ডে যদি জলাশয় লেখা থাকলে তাহলে কীভাবে ওই পুকুর ভরাট করা হল?'

Advertisement
আসানসোলে আরএসএস কার্যালয়ে নোটিস আসানসোলে আরএসএস কার্যালয়ে নোটিস
হাইলাইটস
  • আসানসোলে আরএসএসের দফতর নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন মমতা।
  • প্রশ্ন করেছিলেন, 'কীভাবে ওই পুকুর ভরাট করা হল?'

বেআইনি নির্মাণ এবং জবরদখল করে হকারি রুখতে কড়া অবস্থান নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে আসানসোলে সঙ্ঘের কার্যালয়ের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি জানে পেরেছেন,আসানসোলে পুকুর ভরাট করে তৈরি হয়েছে আসানসোলের আরএসএস দফতর। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরই বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌঁছয় প্রশাসনের দল। ওই বাড়ি সংক্রান্ত যাবতীয় নথি দেখতে চাওয়া হয়। শুক্রবার আসানসোলের ওই আরএসএস কার্যালয়ে পাঠানো হল নোটিস। তাতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে ওই সংক্রান্ত নথি জমা দিতে হবে পুরসভার কাছে। 

জানা গিয়েছে,আসানসোল পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাউথ ধাদকার জেসি বোস লেনে অবস্থিত আরএসএসের কার্যালয়টি। ওই তিনতলা বাড়িটি পুকুর ভরাট করে তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন,'ল্যান্ড রেকর্ডে যদি জলাশয় লেখা থাকে তাহলে কীভাবে ওই পুকুর ভরাট করা হল?' তারপরই সেখানে পুলিশ নিয়ে পৌঁছন আসানসোল পুরসভা ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সঙ্ঘের কর্মীরা। সঙ্ঘের নেতৃত্বের কাছে ভবন সংক্রান্ত কাগজপত্র চাওয়া হয়। তারপর তাঁরা সেখান থেকে চলে যান।  

শুক্রবার আরএসএসের দফতরে পাঠানো হয় নোটিস। তার প্রতিলিপি আসানসোল উত্তর থানা এবং ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরেও পাঠানো হয়েছে। একাধিক নথি চাওয়া হয়েছে নোটিসে। তাতে রয়েছে, ভবন বা জমি কেনার দলিল,পরচা, জমির চরিত্র বদলের নথি,নো অবজেকশন সার্টিফিকেট এবং বিল্ডিং প্ল্যানিং এবং পুরসভার হোল্ডিং ট্যাক্সের কাগজ। ৭ দিনের মধ্যে সমস্ত নথিপত্র জমা দিতে হবে। আরএসএস সূত্রের খবর, কাগজপত্র জোগাড় করে জমা দেওয়া হবে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই। 

আরও পড়ুন

 

আরএসএস-কে নোটিস
আরএসএস-কে নোটিস

আরএসএসের মুখপাত্র বিপ্লব রায় বলেন,'প্রশাসনিক আধিকারিকরা আমাদের কাছে নথি চেয়েছিলেন। সেই সব আমরা দিয়েছি। সময়ের মধ্যেই নোটিসের জবাব দেওয়া হবে। ২০০৫-২০০৬ সালেই ওই ভবনটি কিনেছিল আরএসএস। কস্মিনকালেও স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে পুকুর দেখেননি। এখন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠেছে'।  আরএসএসের আইনজীবী পীযূষকান্তি গোস্বামী জানান,'নোটিস পেয়েছি। সাত দিনের মধ্যেই সমস্ত নথি জোগাড় করা সম্ভব হবে না। ওই এলাকায় কোনও পুকুর বা জলাশয় ছিল না।'

Advertisement

TAGS:
Advertisement