scorecardresearch
 

Seat Sharing Row: 'মমতা অহঙ্কারী, সনিয়া ভিক্ষা চাইবেন না', আসন-জট নিয়ে ফের আক্রমণ অধীরের

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের নিশানা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মমতাকে 'বেইমান' এবং 'অহঙ্কারী' বলে আক্রমণ করেছেন বহরমপুরের সাংসদ। 

Advertisement
হাইলাইটস
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের নিশানা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
  • মমতাকে 'বেইমান' এবং 'অহঙ্কারী' বলে আক্রমণ করেছেন বহরমপুরের সাংসদ। 
  • কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল।

লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের আসন রফা ঘিরে ক্রমেই ঘনাচ্ছে অনিশ্চয়তার মেঘ। শনিবার কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল। পাশাপাশি, বাংলায় কংগ্রেসকে ২টির বেশি আসন ছাড়া নিয়ে রীতিমতো শর্ত চাপিয়েছে জোড়াফুল শিবির। এই নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের নিশানা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মমতাকে 'বেইমান' এবং 'অহঙ্কারী' বলে আক্রমণ করেছেন বহরমপুরের সাংসদ। 

বাংলায় কংগ্রেসের জন্য ২টি আসন ছাড়াতে চায় তৃণমূল। গত বার ভোটে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর এবং মালদা দক্ষিণ, এই দুই কেন্দ্রে জিতেছিল কংগ্রেস। এই ২টি আসনই কংগ্রেসের 'হাতে' ছাড়তে রাজি হয়েছে বাংলার শাসকদল। তবে মাত্র ২টি আসন ছাড়া নিয়ে জোড়াফুলের এই প্রস্তাবে রাজি হননি রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। যা নিয়েই তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে জট তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব যদি সরাসরি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেন, তা হলে কংগ্রেসকে আরও ১-২টি আসন ছাড়তে পারে বাংলার শাসকদল। এই নিয়েই মমতাকে ফের টার্গেট করেছেন অধীর। 

কী বলেছেন অধীর?

আরও পড়ুন

মমতাকে আক্রমণ করে অধীর বলেছেন, 'এই মহিলা রাজীব গান্ধী এবং সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে নেত্রী হয়েছেন। কতটা বেইমান, কতটা অহঙ্কারী। যাঁরা ওঁকে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছেন, তাঁদের উনি অহঙ্কার দেখাচ্ছেন।' এখানেই থামেননি অধীর। তাঁর সংযোজন, 'সনিয়া গান্ধী আপনার কাছে ভিক্ষা চাইবেন না। আপনার অহঙ্কার ভেঙে যাবে এক দিন। আপনি আসলে মোদীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবেন না। তাই আসন রফা নিয়ে আপস করছেন না...।'

২০২৪ সালের নির্বাচনে মোদী বাহিনীকে হঠাতে উঠেপড়ে লেগেছেন বিরোধী নেতারা। তৈরি হয়েছে বিজেপি বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'। গত বছরের শেষ দিকে দিল্লিতে শেষ বৈঠক হয়েছে জোটের। আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলছে বিরোধীদলগুলির মধ্যে। এই আবহে বাংলায় আসন রফা হবে কি না, সে নিয়ে প্রথম থেকেই চর্চা চলছে। এর মধ্যেই সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনায় কর্মিসভায় বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'সারা দেশে থাকবে ইন্ডিয়া। বাংলায় তৃণমূল লড়াই করবে। তৃণমূলই বিজেপিকে শিক্ষা দিতে পারে। সারা দেশকে পথ দেখাতে পারে। অন্য কোনও দল নয়।' মমতার এ হেন মন্তব্য ঘিরেই রাজনীতির ময়দানে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, লোকসভার লড়াইয়ে বাংলায় একাই লড়তে চায় তৃণমূল। আসন সমঝোতার প্রশ্নে মমতা আগেই জানিয়েছেন, রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, তারাই জোটে মুখ্য ভূমিকা পালন করুক। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সেই বার্তাই ফের দিতে চেয়েছেন মমতা। অর্থাৎ জোট হলেও তার নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকবে বাংলার শাসকদল।

Advertisement

মমতার এই মন্তব্যের পর অধীর বলেছিলেন,'মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে বার বার হারিয়েছি, মালদহে হারিয়েছি। আমরা বলছি না, সারা বাংলা দখল করব। যেখানে কংগ্রেস আছে সেখানে লড়বে, জিতবে। আমরা লড়েছি, লড়ছি, লড়ব।' এর পরই মমতাকে নিশানা করে অধীর বলেছেন, 'দিদি সব জায়গায় ঠিক করছে মোদীর বিরুদ্ধে কে দাঁড়াবেন। এই নাটক দেখতে আমরা অভ্যস্ত। মাথা মুণ্ড নেই। বাংলায় কংগ্রেস তার মতো করে লড়ছে। দিদিই জোটের সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দিয়েছেন। দিদি নিজেই জোট চান না। কারণ অসুবিধা আছে। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। বাংলায় কংগ্রেস নিজের লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছি। কে এল, গেল, যায় আসে না।' মমতাকে নিশানা করে অধীর আরও বলেছেন, 'আমরা কারও কাছে ভিক্ষে চাই না। আমরা মমতার দয়া চাই না। আমরা একাই ভোটে লড়তে পারি।' আসন সমঝোতার প্রশ্নে সম্প্রতি মালদা দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী জানিয়েছিলেন যে, মালদা দক্ষিণ এবং বহরমপুর আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়েছেন মমতা। তার পরেই একলা লড়াই নিয়ে ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করেন মমতা।
 

Advertisement