"মইনুল হকের সঙ্গে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি। ওকে মানু বলে ডাকি। মঙ্গলবার সকালে মইনুল হককে ফোনে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তুমি নাকি তৃণমূলে যাচ্ছ? মইনুল (Moinul Haque) জানায়, হ্যাঁ দাদা যাচ্ছি। না গিয়ে আর উপায় নেই। নানারকম অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছি। আর সামলাতে পারছি না। আমাকে যেতেই হচ্ছে। আমি বললাম, তুমি সারা ভারতবর্ষের কংগ্রেস দলের নেতা। পাঁচ বারের বিধায়ক। তোমাকে কিছু বলার নেই। যেটা ভাল বুঝবে করবে।" বুধবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। মইনুল হক তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বলে গতকালই সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তার প্রেক্ষিতেই এদিন এই কথা বললেন অধীরবাবু।
অন্যদিকে মাঝে ভোটে লড়বেন না বলে জানিয়ে দিলেও অবশেষে প্রচারে নেমেছেন সামসেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান। গতকাল থেকেই প্রচারের ময়দান নেমেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury) জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "পরিবারের সদস্য তথা দাদা তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেই তাঁকে প্রার্থী করেছিলাম। পরে তৃণমূল সাংসদ (TMC MP), শাসক দল এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়ায় লড়াই করবেন না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রকৃত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন। তাঁকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। কারণ বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও তিনি লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা তাঁর রাজনৈতিক চরিত্র ও সততার পরিচয়।" প্রসঙ্গত জয়দুর রহমান হলেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানের ভাই। প্রথমে তিনি ভোটে দাঁড়াবেন বললেও পরে আর লড়তে চাইছিলেন না। যদিও অবশেষে মত পরিবর্তন করে ভোটে লড়তে রাজি হয়েছেন তিনি।
এছাড়া প্রচারে বিরোধী দলের প্রার্থীদের শাসক দল ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠছে, এদিন সেই প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন অধীর। তিনি বলেন, "প্রার্থী যে দলের হোক না কেন বাধা দেওয়া উচিত হয়।" এক্ষেত্রে সামসেরগঞ্জের কংগ্রেস (Congress) প্রার্থীকেও আইনের ভয় দেখিয়ে প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।