scorecardresearch
 

Sheikh Shahjahan Arrest: শাহজাহানের গ্রেফতারির পরপরই বদলি ২ পুলিশ অফিসারকে

সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের পরপরই রাজ্য পুলিশ রদবদল করা হল। দুই পুলিশ অফিসারকে বদলি করা হল। ওই দুই পুলিশ অফিসারই বসিরহাট জেলার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ডিরেক্টর অফ ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (ডিআইবি) সুজিত কুমার মণ্ডল এবং ইন্সপেক্টর কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানো হয়েছে। 

Advertisement
শেখ শাহজাহান। ফাইল ছবি শেখ শাহজাহান। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • শাহজাহানের গ্রেফতারের পরপরই রাজ্য পুলিশ রদবদল করা হল।
  • দুই পুলিশ অফিসারকে বদলি করা হল।
  • শাহজাহানকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ।

সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের পরপরই রাজ্য পুলিশ রদবদল করা হল। দুই পুলিশ অফিসারকে বদলি করা হল। ওই দুই পুলিশ অফিসারই বসিরহাট জেলার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ডিরেক্টর অফ ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (ডিআইবি) সুজিত কুমার মণ্ডল এবং ইন্সপেক্টর কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানো হয়েছে। 

সূত্রের দাবি, রানিগঞ্জ থানায় পাঠানো হয়েছে ডিএসপি সুজিত কুমার মণ্ডলকে। অন্যদিকে, সিআইডিতে নিযুক্ত করা হয়েছে কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সুজিতের জায়গায় আনা হয়েছে ব্যারাকপুর থানার ইন্সপেক্টর রাকেশ চট্টোপাধ্যায়কে। বসিরহাটের পাশাপাশি হিঙ্গলগঞ্জ এবং হেমনগর থানার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কাজলের জায়গায় আনা হয়েছে রক্তিম চট্টোপাধ্যায়কে। পূর্ব বর্ধমান জেলার সার্কেল ইন্সপেক্টর ছিলেন রক্তিম। 

সন্দেশখালিকাণ্ডের মূলচক্রী বুধবার রাতে শাহজাহানকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। মিনাখাঁর বামনপুকুর এলাকা থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। তবে শাহজাহানকে কীভাবে গ্রেফতার করা হল, কার বাড়িতে ছিলেন, এই ব্যাপারে মুখ খোলেনি পুলিশ। এই প্রশ্নের জবাবে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ বলেন, 'কার বাড়িতে ছিলেন, কীভাবে গ্রেফতার, এখনই প্রকাশ করব না। এটা তদন্তের বিচার্য বিষয়।' বর্তমানে ১০ দিনের সিআইডি হেফাজতে রয়েছেন শাহজাহান। ইডির আধিকারিকদের উপর হামলার ৫৬ দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয়েছে শাহজাহানকে। জেরায় তৃণমূল নেতা মুখ খুলছেন না বলে সূত্রের দাবি। 

আরও পড়ুন

শাহজাহানকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, এই নিয়ে সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি।  এডিজি দক্ষিণবঙ্গ বলেছেন, 'পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ করা হচ্ছিল। এটা ঠিক নয়। শাহজাহানকে গ্রেফতারে আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল। আদালত স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পর গত রাতে মিনাখাঁ থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।' পুলিশের শীর্ষকর্তার কথায়, 'আমাদের আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল। বাধ্যবাধকতা উঠে যেতেই গ্রেফতার।' ইডির বাধ্যবাধকতা ছিল না। তা হলে তারা কেন গ্রেফতার করল না, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ।

Advertisement

অন্য দিকে, শাহজাহানকে গ্রেফতারের পর পরই বাংলায় সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার আরামবাগের সভায় সন্দেশখালির প্রসঙ্গ ৭ বার তুলেছেন মোদী। তৃণমূলকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'গোটা দেশ আজ বাংলার অবস্থা দেখছে। মা, মাটি, মানুষ, এই ঢোল পেটায় যারা, সেই তৃণমূল সন্দেশখালির বোনদের সঙ্গে যা করেছে, তা দেখে গোটা দেশ দু:খিত।' এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, 'ওখানকার মহিলারা মমতা দিদির সাহায্য চেয়েছিলেন। বিজেপির নেতারা রাতদিন মা-বোনেদের সম্মানের জন্য লড়াই করেছেন। লাঠির আঘাত সহ্য করেছেন। অবশেষে বাংলার পুলিশ আপনাদের সামনে মাথা নত করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।' 

Advertisement