রাজ্য বন দফতর (Forest Department)-এ নিয়োগ (Recruitment)-এ দুর্নীতি (Corruption)-এর অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সেখানে বন সহায়ক (Ban Sahayak) পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অভিযোগ, নিয়ম না মেনে নিয়োগ করা হয়েছে। স্বজনপোষণ করা হয়েছে। শুক্রবার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী (Forest Minister) রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Rajib Banerjee)। তাঁর দাবি, গোটা প্রক্রিয়া নিয়ম মেনেই করা হয়েছে।
কী কী অভিযোগ উঠেছে নিয়োগে নিয়ে? বন দফতর সূত্রে খবর, বন সহায়ক পদে চাকরির জন্য ১০ লক্ষের কাছাকাছি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। ৩০ জায়গায় ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের নম্বর প্রথমে দেওয়া হয়েছিল পেনসিল দিয়ে। পরে তা বদল করে দেওয়া হয়। পরে যাতে বদল করে দেওয়া যেতে পারে, সে জন্যই পেন্সিল দিয়ে নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, নিয়ম না-মেনে যাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের অনেক প্রার্থী রয়েছেন। আবার অনেক আধিকারিকের সুপারিশ করা প্রার্থীও রয়েছে। আর সে কারণেই কোনও মেধাতালিকা টাঙানো হয়নি। যাতে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঢোকানো যায়, দাবি প্রার্থীদের।
আরও অভিযোগ, অনেক এমন প্রার্থী রয়েছেন, যাঁরা পরীক্ষাতেই বসেননি। অথচ দেখা যাচ্ছে তাঁরাও নিয়োগপত্র পেয়েছেন। চাকরির সুযোগ পেয়েছেন। প্রতি পরীক্ষা কেন্দ্রে কয়েকজন করে অনুপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁরাও চাকরির সুয়োগ পেয়েছেন। কোনও মেধাতালিকা তৈরি করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পরীক্ষার্থীরা এমনই দাবি করেছেন। তাঁদের আরও দাবি, ইন্টারভিউয়ের ব্য়াপারে কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। প্রার্থীদের ফোনে সে ব্যাপারে জানানো হয়েছে। জেলাভিত্তিক ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অনেক জায়গায় তাঁরা বিক্ষোভও দেখিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, এই সব অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। কোনও অভিযোগই ঠিক নয়। সব নিয়ম মানা হয়েছে। আর তারপরই নিয়োগ করা হয়েছে। অনিয়মের কোনও প্রশ্ন নেই।