সিএএ লাগু হওয়া নিয়ে ক্রমশই বাড়ছে উদ্বেগ। খোদ সিএএ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। মতুয়া সমাজে নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়ন নিয়ে চিন্তা বাড়ায় ঘুম ছুটেছে মোদী সরকারের। বাংলার নির্বাচনের আগে তাই মতুয়াদের আশ্বস্ত করতে ১৯ জানুয়ারি ঠাকুরবাড়িতে আসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভোটের আগে সিএএ লাগু করতে হতে পারে বিপদ। বঙ্গ রাজনীতির হাওয়া মোরগ বলছে, বিষয়টি ভালোভাবেই উপলব্ধি করেছেন মোদী-শাহরা। তাই দেব দেব বলেও ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে মতুয়াদের নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়ার বিষয়। কিন্তু যার ভিত্তিতে ভোটে জিতে আসা, তা না হলে ঘরেই যে আগুন জ্বলবে তা বুঝে গিয়েছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ। ইতিমধ্য়েই প্রকাশ্য়ে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। কেবল কোভিডের কারণে সিএএ লাগু করা সম্ভব হচ্ছে না, এটা মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
"TMC-র চিঠি ডাস্টবিনে ফেলা হবে", রাজ্যপালের অপসারণ ইস্যুতে আক্রমণ বিজেপির
কদিন আগেই বেসুরো শুনিয়েছে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে। প্রকাশ্য়েই অমিত শাহের বিপরীত সুর শুনিয়েছেন তিনি। শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, সিএএ বাস্তবায়ন যদি কোভিডের জন্য় আটকে যায়, তাহলে তো বিহারের ভোটও আটকে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেরকম তো কিছু হয়নি। মতুয়াদের কান্ডারির মুখে এহেন কথা শুনে আর দেরি করেনি রাজ্য় বিজেপি নেতৃত্ব। শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে বৈঠকে করেছেন তাঁরা।
বুধবার শান্তনু ঠাকুরকে পাশে বসিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় বলেছেন, তৃণমূল শুধু মতুয়াদের ব্য়বহার করেছে। দ্রুত নাগরিকত্ব আইন কার্য়কর হবে। পরে অব্শ্য় একই কথা শোনা যায় শান্তনু ঠাকুরের মুখে। এবার অবশ্য় শাহদের কোভিড তত্বেই সিলমোহর দেন তিনি। কদিন ধরেই শান্তনুর বেসুরো গাওয়া নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক জল্পনা। যার মধ্য়ে ইন্ধন জোগান খাদ্য়মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তৃণমূলের এই নেতা বলেন, দলে ওনাকে স্বাগত। এদিন যদিও দল বদলের জল্পনা উড়়িয়েছেন বিজেপি সাংসদ। শান্তনু বলেন, যারা সিএএ আইন লাগু হওয়ার বিরুদ্ধে, তাদের সঙ্গে কীসের কথা। বিজেপি এই আইন এনেছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারই মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেবে।
হাত বাড়িয়ে পদ্ম শিবির, পলিটিক্সে এসো না বলছেন 'দাদা' ঘনিষ্ঠ
যা নিয়ে অবশ্য় বিজেপি সাংসদকে ঠুকতে ছাড়েননি তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, শান্তনু ঠাকুর বা মুকুল রায় কেউই সিএএ সম্পর্কে জানেন না। যে মতুয়ারা ভোট দিতে পারছে তারা তো এমনিতেই নাগরিক। নতুন করে নাগরিকত্ব দেওয়ার কী আছে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এমনতিতেই তাদের নাগরিক হিসাবে দেখেন।