ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে আসানসোলের কুলটি থানা এলাকার বরাকর। খুলেছে দোকান পাট। রাস্তায় বেরিয়েছেন মানুষজন। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন এক যুবকের রহস্য মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বরাকর। মহম্মদ আরমান নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালের পুলিশ সেলে।
মঙ্গলবার আরমানের মৃত্যুর খবর পেয়েই তাঁর পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা ফাঁড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ সোমবার আরমানকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে তাঁর ওপর অত্যাচার চালান হয়। সেই ঘটনার জেরেই মৃত্যু হয়েছে আরমানের। ক্রমে বিক্ষোভ কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। ইটপাটকেল ছোড়া হয় ফাঁড়িতে। দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে বন্ধ হয়ে যায় দোকান বাজার। এরপর কুলটি থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
জানা যায়, ছিনতাইয়ের অভিযোগে মহম্মদ আরমানকে সোমবার রাতেই আটক করে পুলিশ। কিন্তু তারপরে কীভাবে আরমান জেলা হাসপাতালে পৌঁছালো ও তার মৃত্যু হল তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে গতকালই দুই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়।
তবে দুই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করার পরেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি পরিস্থিতি। গোটা বরাকর স্টেশন রোডের বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হলে তুলে নেওয়া হয় অবরোধ বিক্ষোভ।