scorecardresearch
 

লকডাউনে অনুষ্ঠান নেই, আর্থিক সংকটে বীরভূমের বাউলরা

বীরভূমকে (Birbhum) বলা হয় বাউলের ভূমি। গোটা জেলায় কয়েক হাজার বাউল শিল্পী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকশো বাউল রয়েছেন যাঁরা শুধুমাত্র গান গেয়েই নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বাকিরা বাউলকে অতিরিক্ত পেশ হিসাবে নিয়েছেন। এই বাউলদের একটা বড় অংশ থাকেন বোলপুর এবং তার আশেপাশে। এরা মূলত বোলপুরের বিভিন্ন হোটেলে, সোনাঝুড়ি হাট এবং সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানে গান গেয়ে অর্থ উপার্যন করে সংসার চালান। কিন্তু ফের লকডাউন পরিস্থিতির ফলে অনুষ্ঠান প্রায় বন্ধ। এর ফলে তাঁরা বাড়িতে বসে রয়েছেন।

Advertisement
বাউল শিল্পী (ছবি-সৌমিতা চৌধুরী) বাউল শিল্পী (ছবি-সৌমিতা চৌধুরী)
হাইলাইটস
  • করোনার জেরে কার্যত লকডাউন চলছে
  • অনুষ্ঠান নেই বাউল শিল্পীদের
  • আর্থিক সংকটে কাটছে দিন

করোনার (Corona) জন্য লাগু প্রায় লকডাউনের (Lockdown) জেরে চূরান্ত আর্থিক অনটনে ভুগছে বীরভূমের বাউল (Baul) সম্প্রদায়। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এক হাজার করে মাসিক ভাতা দেওয়া হলেও তা অনিয়মিত। এই পরিস্থিতিতে জেলার হোটেল, হাট, মেলা এবং সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় কার্যত আর্থিক সহযোগিতায় বেঁচে থাকতে হচ্ছে বাউল সম্প্রদায়কে। সোনাঝুরির হাট, কোপাই, আমার কুটির মতো জায়গায় বাউল শিল্পীরা থাকলেও, বসছে না আসর। বলতে গেলে একপ্রকার অনাহারেই দিন কাটাচ্ছেন বাউল শিল্পীদের পরিবারের সদস্যরা।
 
বাউল একটি বিশেষ লোকাচার তথা ধর্মামত। এই মতের সৃষ্টিই হয়েছে বাংলার মাটিতে। লালনের গানের মধ্যে দিয়ে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে বাউল সম্প্রদায়। একতারা নিয়ে গান গেয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ান বাউলেরা। ২০০৫ সালে ইউনেস্কো বাউল গানকে অন্যতম শ্রেষ্ট সম্পদ হিসাবে ঘোষণা করেছে। 

বীরভূমকে (Birbhum) বলা হয় বাউলের ভূমি। গোটা জেলায় কয়েক হাজার বাউল শিল্পী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকশো বাউল রয়েছেন যাঁরা শুধুমাত্র গান গেয়েই নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বাকিরা বাউলকে অতিরিক্ত পেশ হিসাবে নিয়েছেন। এই বাউলদের একটা বড় অংশ থাকেন বোলপুর এবং তার আশেপাশে। এরা মূলত বোলপুরের বিভিন্ন হোটেলে, সোনাঝুড়ি হাট এবং সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানে গান গেয়ে অর্থ উপার্যন করে সংসার চালান। কিন্তু ফের লকডাউন পরিস্থিতির ফলে অনুষ্ঠান প্রায় বন্ধ। এর ফলে তাঁরা বাড়িতে বসে রয়েছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে মাঠে কাজ করছেন। এই পরিস্থিতি কিছু মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, কিন্তু তা সংসাদ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত নয়।

এই বিষয়ে বাউল তরুন খ্যাপা বলেন,' কোন কাজ নেই, সরকারি যে ভাতা পাই তাও অনিয়মিত। কোনও ভাবে হাত পেতে সংসার চলছে। সরকারের কাছে ভাতা বাড়ানোর অনুরোধের পাশাপাশি যারা আসল বাউল তাঁদের ভাতা দেওয়া আবেদন জানাচ্ছি।' তাপস দাস বাউল বলেন, 'সোনাঝুড়ি হাটে প্রতিদিন গান গেয়ে যা পেতাম তা দিয়ে সংসার চলে যেত। কিন্তু এখন সব বন্ধ, খুব কষ্টের মধ্যে দিয়ে আমাদের চলছে।'

Advertisement


 

Advertisement