scorecardresearch
 

মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় মারধর ! অশোকনগরে আত্মঘাতী প্রৌঢ়

মদ খাওয়ার প্রতিবাদ (Protest) করায় মারধর খেতে হয়েছিল। লাঞ্ছনা সহ্য করতে না-পেরে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। এই ঘটনায় তোলপাড় উত্তর ২৪ পরগণা (North 24 Parganas)-এর অশোকনগর (Ashoknagar) এলাকা।

Advertisement
ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন নিহত গৌতমবাবুর পরিবার। এলাকায় তুমুল ক্ষোভ। ছবি: দীপক দেবনাথ ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন নিহত গৌতমবাবুর পরিবার। এলাকায় তুমুল ক্ষোভ। ছবি: দীপক দেবনাথ
হাইলাইটস
  • মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় মারধর
  • লাঞ্ছিত ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন
  • তোলপাড় উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগর

মদ খাওয়ার প্রতিবাদ (Protest) করায় মারধর খেতে হয়েছিল। লাঞ্ছনা সহ্য করতে না-পেরে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। এই ঘটনায় তোলপাড় উত্তর ২৪ পরগণা (North 24 Parganas)-এর অশোকনগর (Ashoknagar) এলাকা।

ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় মানুষ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহতের বাড়ির কাছেই প্রতিনিয়ত বসত মদের আসর। তার প্রতিবাদ করে আক্রান্ত হন তিনি। পরে অভিমানে আত্মহত্যা করলেন ওই ব্যাক্তির। নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল তার ঝুলন্ত মৃতদেহ। নিহতের নাম গৌতম দেবনাথ।

মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরের আদর্শপল্লী এলাকায়। আর এই নিয়ে তুমুল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।

আরও জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ন'টা নাগাদ কাজ সেরে বাড়িতে আসেন তিনি। ঢোকার পর একইভাবে মদের আসর চলছে দেখে প্রতিবাদ করে ৫৭ বছর বয়সী গৌতম দেবনাথ। মদ্যপ অবস্থায় অভিযুক্তরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ।

ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযুক্তরা এলাকা থেকে গা-ঢাকা দেয়। তবে তাঁরা কিছুক্ষনের মধ্যে ফের ফিরে এসে গৌতম দেবনাথকে মারধর করে। রবিবার রাত দশটা নাগাদ এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় অশোকনগরের আদর্শপল্লী এলাকায়।

প্রথম দফায় মারধর, অপমানজনক কথাবার্তা বলার পর দ্বিতীয় দফায় মারধর করলে এলাকার কিছু বাসিন্দা ও পরিবার গৌতমবাবুকে হামলাকীরদের হাত থেকে ছাড়িয়ে আনেন। কোনক্রমে ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। রাতে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্টই চিন্তিত ছিলেন গৌতমবাবু।

আর এর জেরে রাতে তিনি খাবারও খাননি। ঘরের ভিতর থেকে ছিটকিনি আটকে বসে ছিলেন। পরে সকালবেলা নিজের ঘর থেকে গলায় কাপড়ের ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে অশোকনগর থানার পুলিশ। পরিবারের দাবি মারধর, অপমানজনক কথাবার্তা বলায় গৌতমবাবু আত্মহত্যা করেছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার মৃতদেহের ময়না তদন্ত হবে বারাসত জেলা হাসপাতালে। ঘটনায় মৃতের ছেলে প্রসেনজিৎ দেবনাথ সোমবার দুপুরে অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন, "রাতে বাবা কাজ থেকে ফিরছিলেন। সেসময় কয়েক জন যুবক ওখানে মদ খাচ্ছিল। বাবা তার প্রতিবাদ করেন। বাবাকে তখন তারা গালিগালাজ করে। একসময় তর্কাতর্কি বেধে যায়। বাবাকে ঘুষিও মারা হয়। পরে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বাবাকে ঘরে ফিরিয়ে আনে।" 

তিনি আরও জানান, মদ্যপ যুবকদের হাতে আক্রান্ত হওয়া ও অপমানজনক কথা বলাতেই তার বাবা আত্মহত্যা করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে বিশ্বজিৎ রায় ওরফে বিশ্ব ও রতন রায় ওরফে পুচু এই দু'জনকে চিনতে পেরেছেন। বাকিদের পরিচয় জানতে পারিনি মৃতের পরিবার।

মৃত গৌতমবাবুর বড় ছেলে কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। ছোট ছেলে হাবরা শ্রীচৈতন্য কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র প্রসেনজিৎ। আদর্শপল্লীর বাড়িতে নিহতের স্ত্রী এবং পরিবারের বাকিরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

Advertisement