Nawsad Siddique: শক্তি ক্ষয় হওয়ায় ভাঙরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আরাবুল ইসলামকে সরাতে চায় তৃণমূল। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর। আরাবুলের গ্রেফতারির পর হুগলির ফুরফুরা শরিফ থেকে এমনই মন্তব্য করেন নওশাদ। এমনকি তাঁর তুলনা করেন দুধেল গরুর সঙ্গেও। বৃহস্পতিবার আরাবুলকে গ্রেফতার করে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ।
আরাবুলের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভাঙড় এলাকায় আইএসএফ কর্মী খুন এবং যাবতীয় হিংসা অশান্তির নায়ক ছিলেন এই আরাবুল ইসলাম এবং শওকত মোল্লা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় এখন আরাবুলের অনেক শক্তি ক্ষয় হয়েছে। সে আর সেরকম দুধের গরু নয়, তাই হয়তো তাঁকে সাইডলাইন করার জন্য রাজ্য পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানো হয়েছে। তাছাড়া এই বিষয়ে হাইকোর্টে ওনার একটি মামলা ছিল। হয়তো সেই মামলায় হাইকোর্টের রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে আরাবুল ইসলামকে অ্যারেস্ট করানো হয়েছে।"
এদিন অভিষেক ঘনিষ্ঠ শওকত মোল্লাকেও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। জানান, যদি রাজ্য সরকারের পুলিশ শওকত মোল্লা কে অ্যারেস্ট না করে তাহলে তারা কোর্টে দারস্থ হবেন।
প্রসঙ্গত, ভাঙড়ের দায়িত্ব রয়েছে কলকাতা পুলিশের কাছে। দায়িত্ব নেওয়ার ঠিক ৩৯ দিনের মাথায় গ্রেফতার হলেন আরাবুল ইসলাম। শুধু খুন নয়, আরাবুলের বিরুদ্ধে এক প্রোমোটারের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলাবাজির অভিযোগও উঠেছে। আর কয়েকমাস পরেই রাজ্যে লোকসভা ভোট। তার আগেই গ্রেফতার হলেন আরাবুল। তাঁকে লালবাজারে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্রের খবর। লোকসভা নির্বাচনের আগে আরাবুলের গ্রেফতারিতে ভাঙড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাতে পারে।
গত পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পেশের শেষ দিন অর্থাৎ ১৫ জুন তৃণমূল ও আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। অভিযোগ, মনোনয়ন পেশে বাধা দিতে আইএসএফ কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় তৃণমূল কর্মীরা। গুলিবিদ্ধ হন আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লা। তবে আইএসএফ-এর দাবি ছিল অন্তত ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে মৃত্যু হয় মহিউদ্দিনের। সেই খুনের ঘটনার এফআইআর-এ নাম ছিল আরাবুল ইসলামের। ঘটনার ৭ মাস পর আরাবুলকে গ্রেফতার করল পুলিশ।