কাঁচা বাদাম গায়ক ভুবন বাদ্যকর ফের খবরের শিরোনামে। বিস্ফোরক দাবি করবেন তিনি। জানালেন, তাঁকে অপমানের শিকার হতে হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের এক ইউটিউবার বাড়িতে ঢুকে তাঁকে অপমান করেছেন। তিনি এখন দুবরাজপুরের এক ভাড়া বাড়িতে আছেন। তবে এবার গ্রামের বাড়ি লক্ষীনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন।
গত কয়েক মাস ধরে দুবরাজপুরে একটি ঘরভাড়া নিয়ে থাকছিলেন তিনি। ভুবনের অভিযোগ, কাঁচা বাদাম গান ভাইরাল হওয়ার পর বেশ নাম ডাক হয়েছিল তাঁর। অনেকে তাঁর বাড়ি আসছিলেন। গান শুনছিলেন। অনেক অনুষ্ঠানও পাচ্ছিলেন। আর তাই বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পার্শ্ববর্তী গ্রামের কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে তাঁর উপর জুলুম শুরু করে। মেলা-খেলার নামে চাঁদা নিতে শুরু করে তাঁর কাছে। এক আধদিন নয়। দিনের পর দিন। এমনকী একদিন তাঁর ফোন নিয়েও পালিয়ে যায়। সেই 'অত্যাচার' থেকে মুক্তি পেতে তিনি গ্রামের বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন দুবরাজপুরে। সেখানেই ঘরভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন তিনি।
আরও পড়ুন : 'বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ভগবান', তাঁর সমর্থনে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মিছিল শিক্ষক-আমজনতার
তবে সম্প্রতি দুবরাজপুরের সেই বাড়িতে আসে বাংলাদেশের এক ইউটিউবার। ভুবনের অভিযোগ, সেই ইউটিউবার এসে তাঁকে হেনস্থা করে। তাঁকে টাকা-পয়সা নিয়ে মিথ্য়ে অপবাদ দেয়। তিনি থানায় অভিযোগ করেননি। তবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুবরাজপুরে আর থাকবেন না। ফিরে যাবেন লক্ষীনারায়ণপুরে।
যদিও মন ভালো নেই ভুবন বাদ্যকরের। তাঁর আশঙ্কা আবার সেখানে যদি হেনস্থার শিকার হতে হয়? ফের যদি কেউ এসে তাঁর কাছে টাকা-পয়সা দাবি করে? যদিও ভুবন জানিয়েছেন, দুবরাজপুর থানার তরফে তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, এমন কোনও পরিস্থিতিতে পড়লে পুলিশ তাঁকে সাহায্য করবে। উল্লেখ্য ভুবন বাদ্যকর যে নিজের গ্রামেই হেনস্থার শিকার হচ্ছেন, সেই খবর প্রথম সামনে আনে বাংলা.আজতক.ইন।
আরও পড়ুন : কীভাবে হাঁটলে কিছুদিনের মধ্যেই কমবে ওজন, জানুন
কাঁচা বাদাম গানের জন্য জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন ভুবন। তবে সেই গানই তিনি আর গাইতে পারছেন না। সেই গান আর গাইতেও পারবেন না হয়তো কোনওদিন। কারণ, আইনি জাঁতাকল। ভুবন বাদ্যকরের অভিযোগ, গোপাল নামে এক ব্যক্তি তাঁকে বোকা বানিয়ে কাঁচা বাদাম গানের কপি রাইট লিখিয়ে নেন। সেই থেকে তিনি আর গান করতে পারছেন না। তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এখনও তার সুরাহা হয়নি। ফলে কাঁচা বাদাম এখন আর গাইতে পারছেন না। হয়তো আর কোনওদিনই পারবেন না। ভুবনের আরও দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁকে জানাননি যে, কপি রাইট কিনে নিচ্ছেন। তবে কিছু কাগজপত্রে সই করিয়ে নিয়েছিলেন। ভুবনের কথায়, 'আমি অশিক্ষিত মানুষ। আমার অত লেখাপড়া জানি না। আর সেই সুযোগেই আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।'
তাই মন খারাপ ভুবনের। এই মন খারাপ নিয়েই তিনি গ্রামে ফিরছেন। ভুবনের কথায়, 'এবার বাড়ি ফিরছি। এই কয়েক মাসে অনেক ঝড়ঝাপ্টা সহ্য করতে হয়েছে। গান করে কিছু টাকা রোজগার করেছি ঠিকই তবে তার জন্য কম অপমান সহ্য করতে হয়নি। আমি অশিক্ষিত মানুষ। গান করার ইচ্ছে তো ছিল, আজও আছে। ভবিষ্যতে যদি ভগবান কোনওদিন মুখ তুলে তাকান তাহলে আবার হয়তো সেই আগের মতো নামডাক হবে।'