scorecardresearch
 

বেঁচে থাকতেই ডেথ সার্টিফিকেট! ডানকুনিতে বন্ধ মহিলার বিধবা ভাতা

ওই মহিলার নাম গীতা পাত্র। মূলত পরিচারিকার কাজ করেই সংসার চালান তিনি। গত ১০ বছর ধরে পেয়ে আসছেন বিধবাভাতার (Bidhaba Bhata) টাকা। কিন্তু গত অক্টোবর মাসে সেই টাকা আসা বন্ধ হয়ে যায়। টাকা কেন আসছে না তা জানতে ব্যাঙ্কে যান তিনি। ব্যাঙ্ক থেকে তাঁকে পৌরসভায় পাঠান হয়।

Advertisement
গীতা পাত্র গীতা পাত্র
হাইলাইটস
  • জীবিত মহিলার ডেথ সার্টিফিকেট
  • যার জেরে বন্ধ বিধবা ভাতা
  • বিপাকে ডানকুনির বাসিন্দা গীতা পাত্র

বেশ কয়েকমাস ধরে পাচ্ছেন না বিধবা ভাতা। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন, জীবিত অবস্থাতেই তাঁর নামে জমা পড়েছে ডেথ সার্টিফিকেট। ঘটনাটি হুগলির ডানকুনির (Hooghl Dankuni)। বিষয়টি নিয়ে পৌরসভায় বারেবারে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ মহিলার। তাঁর আরও দাবি, তৃণমূলের লোকজনই তাঁর নামে ডেথ সার্টিফিকেট জমা দিয়েছে বলে জানান হয়েছে পৌরসভার তরফে। 

জানা গিয়েছে ওই মহিলার নাম গীতা পাত্র। মূলত পরিচারিকার কাজ করেই সংসার চালান তিনি। গত ১০ বছর ধরে পেয়ে আসছেন বিধবা ভাতার (Bidhaba Bhata) টাকা। কিন্তু গত কয়েক মাসে সেই টাকা আসা বন্ধ হয়ে যায়। টাকা কেন আসছে না তা জানতে ব্যাঙ্কে যান তিনি। ব্যাঙ্ক থেকে তাঁকে পৌরসভায় পাঠান হয়। 

ব্যাঙ্কের পরামর্শ মতো ডানকুনি পৌরসভায় যান গীতা পাত্র। সেখানে বিভিন্ন দফতের ঘুরে যা জানতে পারেন তা শুনে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ তাঁর। পৌরসভার (Dankuni Municipality) তরফে ওই মহিলাকে জানান হয়, তাঁর নামে ইতিমধ্যেই ডেথ সার্টিফিকেট জমা পড়েছে পৌরসভায়। মহিলার দাবি, তৃণমূলের (TMC) লোকেরাই সেই ডেথ সার্টিফিকেট জমা দিয়েছে বলেও জানিয়েছে পৌরসভা। 

গীতা পাত্র জানাচ্ছেন, স্থানীয় কাউন্সিলরকে বিষয়টি নিয়ে বারংবার জানান হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। এমনকী তৎকালীন পৌর প্রশসককে জানানর পরেও চালু হয়নি বিধবাভাতা। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে ভাতার টাকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রীতিমতো আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন তিনি। এই পরিস্থিতিতে গীতা পাত্রর আবেদন অবিলম্বে চালু করা হোক তাঁর বিধবা ভাতার টাকা। একইসঙ্গে যে বা যারা তাঁর নামে ডেথ সার্টিফিকেট (Death Certificate) জমা দিয়েছে, তাদের পরিচয়ও প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি। 


 

Advertisement
Advertisement