scorecardresearch
 

Anubrata Mandal Arrested: বাড়ি ঘিরল CRPF-ঢুকল CBI টিম, এক ঘণ্টায় 'খেল খতম'...

রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এখন দিন কাটছে জেলে। এর মাঝেই আরও এক হেবিওয়েট এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে। সিবিআই বারবার তলব করা সত্ত্বেও হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছিলেন বীরভূম তৃণমূলের দোর্দন্ড প্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বারবার দিচ্ছিলেন শারীরিক অসুস্থতার দোহাই। কিন্তু এবার আর ছাড় মিলল না।

Advertisement
এক ঘণ্টার অপারেশনেই গ্রেফতার অনুব্রত এক ঘণ্টার অপারেশনেই গ্রেফতার অনুব্রত
হাইলাইটস
  • বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানোর এক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় বীরভূমের তৃণমূল সভাপতিকে
  • গরুপাচার মামলায় বুধবার হাজিরা এড়িয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল

রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এখন দিন কাটছে জেলে। এর মাঝেই আরও এক হেবিওয়েট এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে। সিবিআই বারবার তলব করা সত্ত্বেও হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছিলেন বীরভূম তৃণমূলের দোর্দন্ড প্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বারবার দিচ্ছিলেন শারীরিক অসুস্থতার দোহাই। কিন্তু এবার আর ছাড় মিলল না। বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে হাজির হন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ১০০ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে চালান হয় অভিযান। বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানোর এক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় বীরভূমের তৃণমূল সভাপতিকে। চলুন কীভাবে পুরো অভিযান চালান হল তা জেনে নেওয়া যাক-

অনুব্রতর বাড়িতে অভিযান ও গ্রেফতার
গরুপাচার মামলায় বুধবার হাজিরা এড়িয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এরপরেই বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরের নীচুপট্টিতে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে এদিন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে যান সিবিআই অফিসাররা। যাবতীয় নথি সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যায় ১০-১২টি গাড়ির কনভয়। অনুব্রতর বাড়ির চারপাশ ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আধিকারিকরা সার্চ ওয়ারেন্ট সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। সিবিআই মোট ২ কোম্পানি আধাসেনা জওয়ান নিয়ে যায় বলে সূত্রে খবর। ১০০ জন সিআরপিএফ জওয়ান কেষ্টার বাড়ি ঘিরে ফেলে। 

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকরা অনুব্রতের বাড়িতে পৌঁছন। তবে ভেতর থেকে তালা বন্ধ থাকায় আধঘণ্টা বাইরে দাঁড়িয়ে সিবিআই আধিকারিকরা। পরে ভেতরে ঢুকতে পারেন তারা। সিবিআই আধিকারিকরা অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকে বাড়ির সমস্ত দরজায় তালা মেরে দেন। নিয়ে নেওয়া হয় বাড়ির সবার মোবাইল ফোন।  তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কেষ্টাকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় বাড়ির সদস্যদের ফোন। পরিস্থিতি এমন হয় যে, অনুব্রতর দেহরক্ষীরা পর্যন্ত বাড়িতে ঢুকতে পারছিলেন না। পরে অবশ্য অনুব্রতর দেহরক্ষীদের প্রধানকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়।  

Advertisement

সিবিআই অভিযানের ঘণ্টাখানেক পর অনুব্রতকে বাড়ি থেকে বার করা হয়। বসানো হয় সিবিআইয়ের গাড়িতে। জানা যাচ্ছে, দুর্গাপুরে সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দফায় দফায় কেষ্টাকে জেরা করবেন সিবিআই আধিকারিকরা। এদিনই অনুব্রতকে আসানসোল আদালতে তোলা হবে বলে সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত  গরুপাচার মামলায় ১০ বার অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। ৯ বার হাজিরা এড়ায় তৃণমূল জেলা সভাপতি। তিনি মাত্র একবারই নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছিলেন। এরপর থেকেই হাজিরা এড়িয়ে যান বারবার। গরু পাচার মামলায় আগেই তাঁর নাম সামনে এসেছে। আগেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

Advertisement