বেসুরো গেয়ে তৃণমূলেই থাকছেন তিনি। তবু তাঁকে নিয়ে জল্পনার শেষ হচ্ছে না। সূত্রের খবর, এবার তৃণমূলের পাণ্ডবেশ্বেরের বিধায়ককে কেন দলে নিতে আপত্তি তা জানতে বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে বৈঠক করলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
সোমবার রাতে কলকাতায় বাইপাসের ধারে যে পাঁচতারা হোটেলে বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের এক বৈঠক ছিল। সেই হোটেলেই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বিজেপির বৈঠকে ছিলেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও।
কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে অপসারণ, সরানো হল শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দুকে
সেই একই হোটেল থেকে তাঁকে বের হতে দেখে সাংবাদিকরা তাঁকে বিজেপি-যোগের কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি জানিয়ে দেন, এটা সম্পূর্ণভাবেই কাকতালীয় ঘটনা। তিনি তাঁর মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে এই হোটেলে খাবার খেতে এসেছিলেন। এর সঙ্গে বিজেপির বৈঠকের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু তা সত্বেও জিতেন্দ্রকে ঘিরে ফের বিতর্ক তৈরি হতেই এদিন তিনি তাঁর টুইটারে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে একটা অংশ তাঁর সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগের কথা বলছে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি দিদির সঙ্গেই আছেন এবং ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই তিনি তাঁর পুরো ক্ষমতা দিয়েই দলের কাজে নেমে পড়বেন।’
'অনেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেই পগারপার', মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে আসানসোলের সাংসদের মন বোঝার চেষ্টা করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ ও অরবিন্দ মেনন। পরে এ নিয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে প্রশ্ন করা হলে উনি বলেন, এ বিষয়ে কোনও বিতর্ক হয়ে থাকলে তা নিয়ে পার্টিতে আলোচনা হতেই পারে।
সম্প্রতি জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিজেপিতে আসার জল্পনা তৈরি হতেই মুখ খোলেন বাবুল সুপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে দীর্ঘ পোস্ট করেন তিনি। প্রকাশ্য়ে আসানসোলে দিতেন্দ্র তিওয়ারির পার্টিতে অন্তর্ভুক্তিতে আপত্তির কথা বলেন তিনি। পরে তাঁকে সমর্থন করেন দলের মহিলা মোর্চার প্রধান অগ্নিমিত্রা পল। বাবুলের সমর্থনে মুখ খোলেন দলের অন্য়তম নেতা সায়ন্তন বসু। পরে যার জন্য় দুজনের কাছে কৈফিয়ত তলব করে দল। প্রকাশ্য়ে এনিয়ে কেন তাঁরা মুখ খুলেছেন তা জানতে চাওয়া হয়।