একুশের বিধানসভার তথ্য ও পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে বেশ কিছু আকর্ষণীয় উপাদান পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে মাত্র ৫৭ ভোটে জিতে কোনও কেন্দ্র থেকে জয়। আবার দেখা যাচ্ছে, একই পরিবার থেকে ভোটে দাঁড়ানো বিভিন্ন সদস্যদের ভিন্ন ফলাফল।
তাদের কেউ হেরেছেন, আবার কেউ বা জয়ের হাসি হাসতে পেরেছেন। এমনই একটি উদাহরণ হল বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং তার ছেলে শুভ্রাংশু রায়। বাবাকে বাংলার রাজনীতির 'চাণক্য' বলা হয়। তিনি আগে ছিলেন তৃণমূলে। এখন যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে।
এইবার এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিধানসভা ভোটে দাঁড়িয়েছেন। এবং সাফল্য পেয়েছেন। প্রথমবারে তিনি সফল হননি তিনি। দুই দশক আগে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার জগদ্দল থেকে ভোটে লড়েছিলেন।
তবে তিনি তখন জয়ের মুখ দেখতে পারেননি। তবে এবার নদিয়ার কৃষ্ণনগর উত্তরে অবশ্য 'মুকুল' ফুটেছে। তিনি জয়ী হয়েছেন। হারিয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে।
তবে হেরে গিয়েছেন তাঁর বিদায়ী বিধায়ক পুত্র শুভ্রাংশু রায়। তিনি ছিলেন বীজপুরের বিধায়ক দীর্ঘদিন। এবারও নিজের কেন্দ্র থেকেই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি ওই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন।
তবে এবারের ভোট তাঁকে হতাশ করেছে। তিনি হেরে গিয়েছেন। তৃণমূলের সুবোধ অধিকারী তাঁকে হারিয়ে দিয়েছেন।
এবার দেখে নেওয়া যাক একুশের ভোটে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন ব্যবধানে কোন কোন প্রার্থী জয়ী হলেন। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট বলছে, সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন সুজাপুরের তৃণমূলের প্রার্থী। তিনি ১ লক্ষ ৩০ হাজার ১৬৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
তিনি হলেন সুজাপুরের তৃণমূল প্রার্থী মহম্মদ আবদুল গনি। তিনি হারিয়েছেন কংগ্রেসের ইশা খান চৌধুরীকে। ইশা খান চৌধুরী ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে ওই কেন্দ্রের প্রার্থী।
আর সর্বনিম্ন ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন দিনহাটার বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। তিনি ৫৭ ভোটের ব্যবধানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের উদয়ন গুহকে হারিয়েছেন। উদয়ন গুহ সেখানকার বিধায়ক। ছিলেন ২০১৬ সালে তিনি ২১ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলেন।
এদিকে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক গোলমাল। কলকাতা হোক বা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সংঘর্ষ হচ্ছে।