তৃণমূলে যোগদানের পর সাংবাদিক সম্মেলনেই আসানসোলের সাংসদ পদে ইস্তফা দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। আর তেমনটা হলে ৬ মাসের মধ্যে ওই কেন্দ্রে হতে হবে উপনির্বাচন। তাই এখন থেকেই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিজেপি। সোমবারই আসানসোলে সাংগঠনিক বৈঠক করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দলের কর্মীদের উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। একইসঙ্গে ওই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি জিতবে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু।
এদিকে রাজনৈতিকমহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় আসানসোলের রাজনীতিতে বাস্তবে কতটা প্রভাব পড়বে? যদিও শুভেন্দু অধিকারীর দাবি বাবুল তৃণমূলে যাওয়ায় কোনও প্রভাবই পড়বে না দলে। তিনি বলেন, 'বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে (TMC) যাওয়ায় বিজেপির (BJP) কোনও ক্ষতি হবে না, বরং লাভ হবে।'
২০১৯ ও ২০২১-এর ফলাফল
তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ অবশ্য মনে করছেন, শুভেন্দু অধিকারী আসানসোল (Asansol) লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ের দাবি করলেও গত বিধানসভা ভোটের ফলাফল কিন্তু অন্য কথা বলছে। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে যে বিধানসভা আসনগুলি রয়েছে সেগুলি হল পাণ্ডবেশ্বর, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, আসানসোল দক্ষিণ, আসানসোলের উত্তর, কুলটি ও বারাবনি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলের নিরিখে যেখানে এই সবকটি আসনেই এগিয়ে ছিল বিজেপি, সেখানে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে সেগুলির মধ্যে মাত্র ২টি এসেছে গেরুয়া শিবিরের দখলে। কুলটি ও আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে জয় পেয়েছে বিজেপি (BJP)। বাকি ৫টি আসনেই ফুটেছে ঘাসফুল।
যদিও রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের অনেকের মুখে প্রায়শই শোনা যায় লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ইস্যু থাকে আলাদা। তাই এই দুই নির্বাচনের সংখ্যাতত্ত্বের মধ্যে তুলনা টানতে রাজি হন না তাঁরা। সেক্ষেত্রে এখন দেখার উপনির্বাচন হলে তাতে গত লোকসভা না বিধানসভা, কোন ভোটের ফলাফলের প্রতিফলন ফুটে ওঠে।
আরও পড়ুন - বাংলায় BJP-কে 'দাঁড়' করিয়ে এবার কেন্দ্রের পথে দিলীপ