দিন কয়েক আগে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরের এই গ্রাম। এবার তাজা বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ফের একই জায়গায় ছড়াল চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থল বিষ্ণুপুরের বেলিয়াড়া গ্রাম। বুধবার সকালে এলাকায় বেশকয়েকটি তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এরপর পুলিশ গিয়ে বোমাগুলি বাজেয়াপ্ত করে। কে বা কারা ওই অঞ্চলে বোমা রেখে গেল তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেও তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই গ্রাম। রাতের অন্ধকারে গ্রামে ব্যাপক বোমাবাজি ও আটটি বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেদিনও পুলিশ গ্রামে পৌঁছে তাজা বোমা উদ্ধার করে বলে জানা গিয়েছে। রাতভর বোমাবাজি, বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তৃণমূলের দু'পক্ষ পরস্পরের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলে। সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের পয়লা অগাষ্ট খুন হন বেলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা তৃণমূল নেতা বাবর আলি শেখ। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় বর্তমান প্রধান তসমিরা খাতুনের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা রহিম মণ্ডলের। সেই সময় গ্রেফতারও করা হয় রহিমকে। নিহত বাবর আলি শেখের মেয়ে মামনি খাতুনের দাবি, বাবাকে খুনের ঘটনা দেখেছিল তাঁর ভাই। তাই ভাইকে সরিয়ে দিতেই আক্রমণ চালানো হয়েছে। ঘটনায় সামসো পালোয়ান, সেলিম পালোয়ান এবং রহিম মণ্ডলরা যুক্ত বলেও দাবি করেন তিনি। যদিও বিষ্ণুপুর ব্লক যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি সেলিম পালোয়ানের দাবি, তিনি ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। একজন দায়িত্বশীল তৃণমূল কর্মী হিসেবে তিনি নিজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে সেই ঘটনার বিষয়ে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের (TMC) সভাপতি শ্যামল সাঁতরাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি শুনেছেন, বিস্তারিত জেনে তবেই এই বিষয়ে মন্তব্য করবেন। তবে পরপর দুটি ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা গ্রামজুড়ে।