এবার বাংলাতেও চললো 'বুলডোজার'। জেসিবি দিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসেরই (TMC) অবৈধ কার্যালয় ভেঙে দিল জেলা প্রশাসন। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকায়। আদালতের নির্দেশেই ভাঙা হয় পার্টি অফিসটি। যদিও ওই দফতরটি না ভাঙার আবেদন জানানো হয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের তরফে। তবে সেই সবে কান দেননি জেলা প্রশাসনের কর্তারা। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
ভেঙে ফেলার নির্দেশ হাই কোর্টের
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বড়ঞায় (Burwan Murshidabad ) তৃণমূলের ওই অবৈধ পার্টি অফিস ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় রাজ্যের উচ্চ আদালত। তার প্রেক্ষিতেই এদিন ওই পার্টি অফিসে পৌঁছান জেলার ম্যাজিস্ট্রেট-সহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ আধিকারিক। এরপর জেসিবি-র দ্বারা সেটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও তৃণমূলের স্থানীয় এক দল কর্মী সমর্থক পার্টি অফিসটি না ভাঙার আবেদন জানান। তবে তাতে অবশ্য অবৈধ ওই নির্মাণটিকে রক্ষা করা যায়নি। জেসিবির আঘাতে ভেঙে পড়ে সেটি।
পাল্টা আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি
প্রসঙ্গত, শফিউর রহমান নামে এক ব্যক্তি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল সরকারি জায়গার উপর তৈরি করা হয়েছে ওই ভবনটি। আর ওই বিল্ডিং-এরই একপাশে ছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস। অন্যদিকে স্থানীয় উপপ্রধান দাবি করেন, জায়গা নিয়ে গণ্ডগোল চলছিল। সেই কারণে মামলা করেছিল। কিন্তু সেটি সরকারি জায়গা নয় বলেই দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে বড়ঞা ২ নং গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান জোৎস্না বিবি সংবাদমধ্যমে বলেন, "আদালত ৪৫ দাগের অনুমতি দিয়েছে। আর ওরা ভেঙেছে ৪৩-৪৪। বিএলআরও অফিস ভুল মাপঝোক করছে। এবার আমরা আইনের দ্বারস্থ হব। কোর্টে যাব"। তবে রাজ্যে সম্ভবত এটিই প্রথম ঘটনা, যেখানে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হল খোদ শাসক দলেরই পার্টি অফিস। এর আগে 'বুলডোজার' নিয়ে বিশেষভাবে সরগরম হয়ে উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি। এবার বাংলাতেও তার ছায়া পড়ল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
আরও পড়ুন - 'দু'জনেই দুর্নীতিবাজ', মমতা-কেজরিওয়ালকে একযোগে নিশানা শুভেন্দুর