'ঝুলি থেকে বিড়াল বেড়িয়ে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে স্বীকার করছেন ভোটের পর ওনাদের ১৬ জন মারা গিয়েছেন। ১৬ জন কি কম? আর কত জন মারা গেলে উনি স্বীকার করবেন যে হিংসা হয়েছে? আমাদের তো ৫৫-৬০ জন মারা গিয়েছে', ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত (Post Poll Violence Case) মামলায় রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, 'যাঁরা বিরোধী থাকতে সবসময় সিবিআই তদন্তের কথা বলতেন, তাঁরাই এখন বিরোধিতা করছেন। আসলে যাঁরা হিংসা করেছেন তাঁরা বুঝে গিয়েছেন এখন আর পার পাবেন না, তাই বাঁচার শেষ রাস্তা হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন।'
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে বিজেপির (BJP) পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দলের রাজ্য সভাপতি বলেন, 'সেখানে কোনও ভাঙন নেই। গতমাসে সমস্ত বিধায়কদের সঙ্গে কথা হয়। তখনই ঠিক হয় সবাইকে নিয়ে বৈঠক হবে। সেই অনুযায়ী চিফ হুইপ মনোজ টিগ্গা বৈঠক ঠিক করেন। ৪-৫ জন ছিলেন না, তাদের কেউ অসুস্থ, কেউ দিল্লি বা কলকাতায় আছেন, আর সেই খবর আগে থেকেই ছিল।'
স্বাস্থ্যসাথী ও লক্ষ্মীভান্ডার প্রকল্পকেও তীব্র কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'কোভিডের সময় স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) কার্ডে বেসরকারি হাসপাতালে কোনও সুবিধা পাওয়া যায়নি। এবার লক্ষ্মীর ভান্ডার (Laxmir Vandar) শুরু হয়েছে, এক-দুমাস পরে মানুষ টাকা পাবেন কি না, জানা নেই। এত টাকা কোথায় পাবে সরকার?' এগুলোকে 'রাজনৈতিক স্টান্ট' বলেই কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ।
এদিন সামাজিক কাজ নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী (CM) তথা রাজ্য সরকারকে বেঁধেন দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'সামাজিক কাজ বলতে উনি কী বোঝেন, ক্লাবকে টাকা দেওয়া? কয়েক হাজার কোটি টাকা বিলিয়ে দিলেন। করোনার সময় সেই ক্লাবগুলিকে দেখা যায়নি। সেই টাকায় কী হয়েছে, খেলাধূলায় কাজে লেগেছে নাকি, ফিস্ট হয়েছে? অলিম্পিক বাংলার ভূমিকা কী? এখানকার ফুটবল দল, ক্রিকেট দলের মান কেমন? ১০ বছরে খেলাধূলার জন্য কী করেছেন? কিছু ক্লাবকে লালনপালন করেছেন, ভোটের ক্যাডার তৈরির করার জন্য। যদি মনে হয় এটা সামাজিক কাজ, তাহলে সফল হয়েছেন।'