scorecardresearch
 

'অনেকে কালীঘাটে প্রণাম করে আসেন, উনি ওখানে করেছেন', মমতা-শুভেন্দু সাক্ষাতে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য দিলীপের

বিরোধীদের সঙ্গে রাজনৈতিক সৌজন্যে কোনও ভুল দেখছেন না বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার বিষয়টিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ওঁদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। অনেকে কালীঘাটে গিয়ে প্রণাম করে আসে। ওঁরা বিধানসভায় প্রণাম করেছে।'

Advertisement
dilip dilip
হাইলাইটস
  • বিরোধীদের সঙ্গে রাজনৈতিক সৌজন্যে কোনও ভুল দেখছেন না বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
  • শনিবার বিষয়টিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ওঁদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক।
  • অনেকে কালীঘাটে গিয়ে প্রণাম করে আসে।

বিরোধীদের সঙ্গে রাজনৈতিক সৌজন্যে কোনও ভুল দেখছেন না বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার বিষয়টিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ওঁদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। অনেকে কালীঘাটে গিয়ে প্রণাম করে আসে। ওঁরা বিধানসভায় প্রণাম করেছে।'

গতকাল, শুক্রবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ঘরে ডেকে মিনিট তিনেক কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। যা এখন বাংলার রাজনীতিতে চর্চার বিষয়। কেউ বলছেন, এটাই সংসদীয় রাজনীতির স্বাভাবিক সৌজন্য, আবার কেউ বলছেন এর পিছনে রয়েছে রাজনীতির অঙ্ক। তবে এই ঘটনায় কোনও অন্যায় দেখছেন না বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, বিরোধী দলের সঙ্গে সৌজন্য রাখায় কোনও অন্যায় নেই। তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব দলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার যে কথা বলেছেন, তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে তাঁর। 

শুক্রবার বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার বার্তা দিয়েছিলেন মমতা। তাঁর দাবি ছিল, রাজ্যের স্বার্থে দল নির্বিশেষে সবারই এগিয়ে আসা উচিত। সেই প্রসঙ্গে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, 'সব দলকে নিয়ে প্রতিনিধিদল তৈরি করুন। তাঁরা দিল্লি যাবেন। প্রয়োজনে মন্ত্রীদের কাছে গিয়ে বাংলার হয়ে দাবি করবেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছেও যাবেন। সবাই মিলে উন্নয়নের কাজ করুন।'
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ওই বিষয়টিতে ঘোর আপত্তি রয়েছে দিলীপের। তিনি বলেন, 'চলুন যাই সবাই মিলে দিল্লি থেকে টাকা নিয়ে আসি বলে যে প্রস্তাব উনি দিয়েছেন, তাতে আমার আপত্তি আছে। আমরা টাকা নিয়ে আসব আর সেই টাকায় তিনি আনন্দ করবেন, নিজের লোকদের পুষবেন, এটা হতে পারে না।'

মমতা- শুভেন্দু সাক্ষাৎ নিয়ে দিলীপের বক্তব্য, 'কারও সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতেই পারে। বিধানসভা সৌজন্যের জায়গা। সাংবিধানিক ব্যবস্থায় সবাই বসে কথা বলেন। আমার অন্যায় কিছু মনে হয়নি। আমি নিজেও বিরোধী দলের সঙ্গে সৌজন্য রেখেছি।' 
শিক্ষক দুর্নীতি প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, 'যে যাই করুক, সবই আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছায় হয়েছে। ওনার ইচ্ছে ছাড়া এরাজ্যে গাছের পাতা নড়ে না। যদি কেউ বলে, আধিকারিকরা সব করেছেন উনি কিছু জানেন না, সেই কথা হজম করা মুশকিল।'

Advertisement

আরও পড়ুন: 'ভাই' সম্বোধন-আলাদা সাক্ষাত্‍, মমতা-শুভেন্দুই ছেয়ে রইলেন বিধানসভায়

 

Advertisement