আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মনের ফেসবুক পোষ্ট ঘিরে ছড়াল চাঞ্চল্য রাজনৈতিকমহলে। ফালাকাটার বিধায়ক তাঁর ফেসবুক পোষ্টে লিখেছেন, 'বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলার পাঁচটি আসনে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী করার জন্য জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও বিজেপির প্রাক্তন সভাপতিকে ধন্যবাদ জানাই।' পরে এই পোষ্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিধায়কের জবাব, "সাংবাদিক বৈঠকেই তৃণমূল সভাপতি এবং বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি স্বীকার করেছেন তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। এর থেকেই স্পষ্ট বিজেপিকে পাঁচটি আসনে জেতাতে দুজনে একসঙ্গে কাজ করেছেন।"
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের গণনার পরেই দলে অর্ন্তঘাতের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্রের পরাজিত তৃণমূল (TMC) প্রার্থী সৌরভ চক্রবর্তী। সেই সময় সৌরভ প্রকাশ্যে সংবাদ মাধ্যেমে অভিযোগ করেন, জেলার প্রথম সারির নেতারাই প্রার্থীদের হয়ে নির্বাচনী ময়দানে নামেননি। তাই জেলার পাঁচ আসনেই হারতে হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীদের। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দেড় মাস পরে বিজেপি বিধায়কের এই ফেসবুক পোষ্ট ঘুরিয়ে সৌরভ চক্রবর্তীর আনা অর্ন্তঘাতের অভিযোগের তত্ত্বকেই মান্যতা দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
যদিও ফালাকাটার বিজেপি (BJP) বিধায়কের ওই ফেসবুক পোষ্টকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী। তিনি বলেন, "রাজনৈতিক সৌজন্যের বিষয়টি ফালাকাটার বিধায়ক জানেন না। তাই প্রলাপ বকছেন।" তবে ফালাকাটার বিধায়কের ফেসবুক পোষ্ট যথেষ্টই প্রভাব ফেলেছে জেলা তৃণমূলের অন্দরে। বিধায়ক যে ঘুরিয়ে দলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামীর বিরুদ্ধেই অন্তর্ঘাতের অভিযোগ এনেছেন, তা বুঝতে পারছেন তৃণমূলের নেতারা। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে জেলা তৃণমূলে।
দীপক বর্মন তাঁর ফেসবুক পোষ্টে মৃদুল গোস্বামীর পাশাপাশি নিশানা করেছেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকেও। তবে এই বিষয়ে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা অবশ্য বলেন, "ওই চ্যাপ্টার ক্লোজ হয়ে গিয়েছে। এখন নতুন ইনিংস শুরু করেছি। তাই ক্লোজ চ্যাপ্টার নিয়ে কিছু বলব না।"