scorecardresearch
 

'৫ মে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাইক নয়,' উপনির্বাচনে কড়া কমিশন

সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই ৫ এপ্রিল পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাইক ছাড়া প্রচার করতে হবে। যাতে পরীক্ষার্থীদের কোনওরকম অসুবিধা না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখছে কমিশন। বিশেষ সার্ভিলেন্স টিমকে কড়া নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনওরকম অভিযোগ পেলেই আইনানুগ পদক্ষেপের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
ইলেকশন কমিশন ইলেকশন কমিশন
হাইলাইটস
  • মাইক নিয়ে কড়া নির্দেশ কমিশনের
  • ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ধরপাকড়
  • অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সবরকম ব্যবস্থা

পরীক্ষার ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত কোনওরকম মাইক বাজানো যাবে না বলে অনেক বছর আগেই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আর সেই নির্দেশ প্রতিবছরই কার্যকর করে রাজ্য সরকার। কিন্তু এইবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় পড়ে গিয়েছে আসানসোলের লোকসভা এবং বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে আগামী ২,৩ ও ৫ এপ্রিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছেই মাইক না বাজানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। 

মাইকে নিষেধাজ্ঞা

আর বুধবার নির্বাচন কমিশনও জানিয়ে জানিয়ে দেয় যে, এদিন রাত ৮টা থেকেই সবরকম মাইক বাজানো বন্ধ করতে হবে। ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছেই এই নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। সব রাজনৈতিক দলকেই ৫ এপ্রিল পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাইক ছাড়া প্রচার করতে হবে। যাতে পরীক্ষার্থীদের কোনওরকম অসুবিধা না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখছে কমিশন। বিশেষ সার্ভিলেন্স টিমকে কড়া নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনওরকম অভিযোগ পেলেই আইনানুগ পদক্ষেপের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

চলছে ধরপাকড়

অন্যদিকে নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতেও তৎপর কমিশন ও প্রশাসন। মঙ্গলবার পর্যন্ত লাইসেন্সড বন্দুক জমা পড়েছে ১,৩২০টি। প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট করা হয়েছে ৮০০জনকে। জামিন অযোগ্য ধারাতেও গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েকশো জনকে। আসানসোল ২,১০২টি এবং বালিগঞ্জে ৩০০টি বুথ। নিরাপত্তার জন্য আসানসোলে থাকছে ১১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ১১৭ টি QRT। আর বালিগঞ্জে থাকছে ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ১৭টি QRT। আসানসোলের লোকসভা কেন্দ্রে গণনা হবে আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। তবে বালিগঞ্জের গণনা কোথায় হবে তা এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। 

নির্বাচনের সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কমিশন। রাজ্য প্রশাসন ও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে সমস্ত রিপোর্ট নিয়মিতভাবে পাঠানো হচ্ছে। রামপুরহাটের গণহত্যার ঘটনার পর আসানসোলের উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন রীতিমতো উদ্বিগ্ন। আসানসোলের জেলা শাসক ও পুলিশ কমিশনারকে পার্শ্ববর্তী রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে অবিলম্বে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নাকা চেকিংয়ের ওপরে যেমন জোর দিতে বলা হয়েছে, ঠিক তেমনই কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারিও আরও বাড়াতে বলা হয়েছে। উপনির্বাচন হলেও নিরাপত্তায় কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না কমিশন। ভয়মুক্ত নির্বাচন করতে কমিশন যে কতোটা বদ্ধপরিকর, তা পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের মধ্যে দিয়েই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। 

Advertisement

আরও পড়ুনমাথার চুলে পাখির বাসা! এই মহিলার গল্প জানেন?

 

Advertisement