রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার আগেই প্রচারের কাজে নেমে পড়ল বিজেপি। তারা শুরু করে দিয়েছে দেওয়াল লিখন। শনিবার তেমনই দেখা গেল বনগাঁ এলাকায়। স্থানীয় বিজেপি নেতারা দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছতে এখন থেকেই ভোটের কাজে নেমে পড়েছেন তাঁরা।
রাজ্যে দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে কর্মীদের জন্য ২৩ দফা কর্মসূচি ঠিক করে দিয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এর মধ্যে একটি হল দেওয়াল লিখন। বা দেওয়ালে পদ্ম ফোটানো। প্রতিটি বুথের ৫টি জায়গায় পদ্মফুল ফোটাতে হবে। এর অর্থ দেওয়াল দখল। তাদের ব্যাখ্যা, বাংলার রাজনীতি কোনও এলাকার দেওয়াল দেখে সেখানকার রাজনৈতিক দলের ক্ষমতার অনুমান পাওয়া যায়। তাই এই কৌশল।
নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলায় সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি, তা দলের কর্মীর সক্রিয়তা দেখে আঁচ করা যায়। রাজ্যের সমস্ত বুথে স্তরের কর্মীদের বৈঠক করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বুথ স্তরে সংগঠনকে আরও মজবুত করা ও একুশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করতে। সেই মতো বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা চাঁদপাড়া এলাকায় বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দেবার আবেদন জানিয়ে দেওয়াল লিখন শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।
সেখানকার ১৫৫ নম্বর বুথ সভাপতি অমরেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, দলের যে নির্দেশ তা মেনে চলা। আর তাই দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছি। নিজেরা চুনকাম করেছি। নিজেরাই দেওয়াল লিখছি। ২০২১ সালে বিজেপি যে আসছে, সেই বার্তা দিতে দেওয়াল লিখছি। আমরা আরও বেশি করে মানুষের কাছে দলের প্রতীক চিনিয়ে দেওয়ার জন্য এই কর্মসূচি নিয়েছি। আমরা দলের সক্রিয় কর্মী। ন্যূনতম ৫টি দেওয়াল লিখতে হবে। প্রার্থী কে হবেন, তা পরে ঠিক হবে। তবে ভোটে যে বিজেপি জিতছে সবাইকে জানান দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ। তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি দেওয়াল লিখনে তুলে ধরা হয়েছে। কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কাজ করছে। আমাদের প্রতি মানুষের সমর্থন বাড়বে।' ওই কেন্দ্রে বিজেপি জিতবে বলে দাবি করেন তিনি। জানান, লোকসভা ভোটে ওই বুথে এগিয়ে ছিল বিজেপি।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঠিক করে দেওয়া কর্মসূচি ডিসেম্বরের মধ্যে সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বড় বড় সভার বদলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগে জোর দিয়েছে দল। এর পাশাপাশি কর্মসূচি তৈরির সময় নজর রাখা হয়েছে, সমাজের সব স্তরের মানুষের সঙ্গে যাতে যোগাযোগ তৈরি হয়। বিরুদ্ধে দলের রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গেও যোগাযাগ রাখতে হবে। বিজেপি শাসনক্ষমতা এলে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা যাতে সবাই পায়, কাউতে সরিয়ে না-রাখা হয়, সেই বার্তা পৌঁছে দিতেই সবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার পরামর্শ।
বিজেপি বার বার জোর দিয়েছে বুথভিত্তিক সংগঠন, কমিটি তৈরির ওপর। দলের কর্মীদের কাছে বিজেপি নেতাদের বার্তা, তৃণমূল স্তরে সংগঠন পোক্ত করেই তৃণমূলেকে মাত দিতে হবে।