scorecardresearch
 

৬ টাকা বদলে দিল ভাগ্য, কাঁকড়া শিকারি রাতারাতি কোটিপতি!

, অভাবের সংসারে ভাগ্যপরিবর্তনের আশায় আগেও মাঝে মধ্যে লটারির টিকিট কাটতেন সুভাষ। সেই অভ্যাসেই গত মঙ্গলবার ৬ টাকা দিয়ে সরবেড়িয়া বাজার থেকে একটি সাপ্তাহিক লটারি টিকিট কাটেন তিনি। আর তারপরের গল্প এখন ইতিহাস। এক লহমায় ফিরে গেল ভাগ্য।

Advertisement
লটারি জিতলেন কাঁকড়া শিকারি লটারি জিতলেন কাঁকড়া শিকারি
হাইলাইটস
  • ৬ টাকার লটারি বদলে দিল জীবন
  • ১ কোটি টাকার লটারি জিতলেন কাঁকড়া শিকারি
  • লটারি জিতেই মুহুর্তে সেলিব্রিটি হয়ে গিয়েছেন তিনি

সুকুমার রায় রচিত হয়বরলে রয়েছে রুমালের বেড়াল হয়ে ওঠার কথা। সেই গল্পই সম্প্রতি বাস্তবে রূপ পেয়েছিল মালদহের রতুয়ার রাজমিস্ত্রি  দানিশ‌ আনসারির জীবনে। মাত্র ৩০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেটে কোটি টাকার মুখ দেখেছিলেন হতদরিদ্র রাজমিস্ত্রি দানিশ। এলাকায় রাতারতি সেলিব্রিটি হয়ে গিয়েছিলেন দিন আনা দিন খাওয়া দানিশ। এবার উত্তরবঙ্গের দানিশের মতই জীবনের চাকা ঘুরে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার চড়াবিদ্যা এলাকার কুমড়াখালি গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ দোলুইয়ের। সৌজন্যে ৬ টাকার এক লটারি টিকিট। যার দৌলতে আজ কোটিপতি সুন্দরবনের নদী ও খাঁড়িতে কাঁকড়া ধরেই কোনও মতে দিন কাটানো সুভাষ।

অবিলম্বে কৃষক বিল প্রত্যাহারের দাবি, ট্যুইটে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মমতার

 জানা যাচ্ছে, অভাবের সংসারে ভাগ্যপরিবর্তনের আশায় আগেও  মাঝে মধ্যে লটারির টিকিট কাটতেন সুভাষ। সেই অভ্যাসেই গত মঙ্গলবার ৬ টাকা দিয়ে সরবেড়িয়া বাজার থেকে একটি সাপ্তাহিক লটারি টিকিট কাটেন তিনি। আর তারপরের গল্প এখন ইতিহাস। এক লহমায় ফিরে গেল ভাগ্য। বুধবার সুভাষ খবর পান  তিনি  এক কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার জিতেছেন। রাতারাতি রূপকথার মত জীবন বদলে যাওয়ার ঘোর এখনও কাটেনি তাঁর।

পিছনে প্রমোটিং চক্র? প্রাক্তন পুলিশকর্তার মেয়ের উপর হামলা শহরে

এতদিন  সুন্দরবনের নদী ও খাঁড়িতে বাঘ ও কুমিরের ডেরায় জীবন বাজি রেখেই কাঁকড়া ধরতেন সুভাষ দোলুই। তারপরেও তিন মেয়ে, এক ছেলে, অসুস্থ বাবা-মার ও স্ক্রীর মুখে দুবেলা  অন্ন তুলে দেওয়াটা ছিল রীতিমত চ্যালেঞ্জ। সুভাষের স্ত্রী সরস্বতী দোলুই জানান, "কিভাবে মেয়েদের বিয়ে দেবো, পড়াশুনা করাবো ভেবে কুল পাচ্ছিলাম না।" ভাঙাচোরা ঘরের মধ্যেই সবাইকে নিয়ে থাকতে হয় তাঁদের। কিন্তু মাত্র একটা লটারির টিকিট এবার বদলে দিল তাঁদের ভাগ্য। লটারি জেতার খবর চাউর হতেই এলাকার মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন দোলুই বাড়িতে।  লহময়া সেলিব্রিটি হয়ে যাওয়া সুভাষের কাছে পুরো বিষয়টি এখন স্বপ্নের মত। জানা যাচ্ছে আগামী দিনে ওই টাকা দিয়ে মেয়েদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি  অসুস্থ বাবা মায়ের চিকিৎসা ও ভাঙাচোরা ঘর মেরামত করবেন সুভাষ।

Advertisement

 

Advertisement