scorecardresearch
 

কাল শিলিগুড়িতে গুরুংয়ের 'শক্তিশেল', সরাসরি পৌঁছবেন সভাস্থলে

পাহাড়ে নিজের শক্তি দেখাতে উঠেপড়ে লেগেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (Gorkha Janmukti Morcha)-র প্রাক্তন প্রধান বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। তার অনুমান পাওয়া যাবে রবিবার শিলিগুড়ি (Siliguri)-র ইন্দিরা গান্ধী ময়দানে তাঁর সভায়। পাহাড়ে 'সিংহাসন' কার দখলে থাকবে, বিমল গুরুংয়ের জনসভা থেকে তার ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে। শনিবার সভাস্থল ঘুরে দেখলেন  মোর্চার বিমল-পন্থী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি (Roshan Giri)।

Advertisement
শনিবার সভাস্থল ঘুরে দেখলেন মোর্চার বিমল-পন্থী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। ছবি: জয়দীপ বাগ শনিবার সভাস্থল ঘুরে দেখলেন মোর্চার বিমল-পন্থী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। ছবি: জয়দীপ বাগ
হাইলাইটস
  • নিজের শক্তি দেখাতে উঠেপড়ে লেগেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন প্রধান বিমল গুরুং
  • রবিবার শিলিগুড়ির ইন্দিরা গান্ধী ময়দানে তাঁর সভা
  • পাহাড়বাসীর উদ্দেশে কী বার্তা দেন সে, দিকে তাকিয়ে

পাহাড়ে নিজের শক্তি দেখাতে উঠেপড়ে লেগেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (Gorkha Janmukti Morcha)-র প্রাক্তন প্রধান বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। তার অনুমান পাওয়া যাবে রবিবার শিলিগুড়ি (Siliguri)-র ইন্দিরা গান্ধী ময়দানে তাঁর সভায়। পাহাড়ে 'সিংহাসন' কার দখলে থাকবে, বিমল গুরুংয়ের জনসভা থেকে তার ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে। শনিবার সভাস্থল ঘুরে দেখলেন  মোর্চার বিমল-পন্থী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি (Roshan Giri)।

একই সঙ্গে সভা মঞ্চ থেকে পাহাড়বাসীর উদ্দেশে কী বার্তা দেন সে, দিকেও তাকিয়ে রয়েছেন তাঁর বিরোধী বলে পরিচিত মোর্চার বিনয় তামাং, অনীত থাপারা। শিলিগুড়ির ইন্দিরা গান্ধী ময়দানের জনসভায় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ আসবে বলে দাবি বিমল-পন্থীদের।

সম্প্রতি বিমল গুরুং প্রকাশ্যে আসেন।  ২০১৭ সালে পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের সময় বিমল গুরুং, রোশন গিরি-সহ তাঁর অনুগামীদের নামে মামলা করেছিল রাজ্য সরকার। তারপর গা ঢাকা দেন বিমল গুরুং এবং রোশন গিরিরা।

এই অবস্থায় অশান্ত পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে এবং পাহাড়কে নিজেদের হাতে আনতে ময়দানে নামে একদা বিমল গুরুংয়ের ছায়াসঙ্গী বিনয় তামাং এবং অনীত থাপা। প্রায় সাড়ে তিন বছর বিমল গুরুং অন্তরালে থাকায় পাহাড়ে নিজেদের ঘাঁটি ধীরে ধীরে শক্ত করেন তাঁরা।

তবে এরই মাঝে প্রায় সাড়ে তিন বছর অন্তরালে থাকার পর প্রকাশ্যে আসে বিমল গুরুং। এবং বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে তৃণমূলের সঙ্গে থাকার কথা ঘোষণা করেন। বিমলের পাহাড়ে আসা আটকাতে বিনয় তামাং এবং অনীত থাপা কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাথে বৈঠক করেছে। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের। 

মোর্চা সূত্রে খবর, ওই সভায় মঞ্চে প্রায় ৩০০ জন নেতা-নেত্রীর বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও এই জনসভায় পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্স মিলিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ বিমল পন্থী মোর্চা সমর্থনকারীরা অংশগ্রহণ করবে বলে দাবি মোর্চার।

Advertisement

এর আগে শিলিগুড়ি বাঘাযতীন পার্কে এই জনসভা হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করে গান্ধী ময়দানে স্থির করা হয়। জানা গিয়েছে, রবিবার শিলিগুড়িতে পৌঁছে বিমল গুরুং সরাসরি গান্ধী ময়দানের সভায় যোগ দেবেন। শনিবার সভা মঞ্চের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে গান্ধী ময়দানের দুপুরে এসে পৌঁছান মোর্চা সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরী। তিনি মঞ্চের কাজকর্ম খতিয়ে দেখার পাশাপাশি মোর্চার নেতৃত্বের সাথে সামগ্রিক বিষয় কথাবার্তা বলেন।

এরপরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, বিমল গুরুং এই জনসভায় আসছে। গোটা পাহাড়,তরাই ও ডুয়ার্স থেকে প্রচুর মোর্চা সমর্থকরা এই সভায় যোগদান করবেন। বিমল গুরুং জননেতা। মানুষের সমর্থন বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু বিনয় তামাং এবং অনীত থাপা নিজে থেকে নেতা সেজেছেন। ওঁদের কোনো জনসমর্থন নেই পাহাড়ে। গোর্খাল্যান্ড তাঁদের দাবি। জীবনের অন্তিম দিন পর্যন্ত সেই দাবিতে লড়ে যাবেন তাঁরা।

অন্যদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয়-পন্থী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অনিত থাপা বলেন, পাহাড়ের মানুষ শান্তি চায় পাহাড়ের উন্নয়ন চায়। পাহাড় নতুন করে অশান্তি হোক পাহাড়বাসীরা তা চায় না।

তবে প্রশাসনিক মহলের একাংশের ধারণা, বিমল গুরুং পাহাড়ে এলে দুই পক্ষের মধ্যে অশান্তিতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে পাহাড়। সব মিলিয়ে পাহাড় পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহল।

Advertisement