"মুখ্য়মন্ত্রীর মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক", জৈন হাওয়ালা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পালটা জবাব রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। একইসঙ্গে তিনি বলেন, "হাওয়ালাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কেউ সাজা পাননি।মুখ্যমন্ত্রী ভুল তথ্য দিচ্ছেন। তাঁর অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। আমি কখনও ভাবিনি একজন নেত্রী শুধুমাত্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করার জন্য এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন।" এদিন ধনখড় বলেন, "অজিত পাঁজার নাম হাওয়ার চার্জশিটে ছিল। তিনি ছাড়াও পেয়েছিলেন। যশবন্ত সিনহার নামও ছিল, তিনিও ছাড়া পেয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যপালের নাম ছিল না।"
ধনখড় আরও বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী আমার ছোট বোনের মতো। আমি তাঁকে সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। ছোট বোনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া যায় না। কিন্তু তিনি যা বলেছেন তা সত্য নয়।"
রাজ্যপাল বলেন, "উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরার পর মমতা বিধানসভায় ভাষণের খসরা পাই। খসরা পড়ে দেখি তাতে যা লেখা রয়েছে তা বাস্তব নয়। তা দেখে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিই। তারপর মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেন। তিনি বলেন এই ভাষণে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। আমি বলি কিছু বিষয়ে আপনার সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন।"
ধনখড় বলেন,"উত্তরবঙ্গে যাওয়ার পর সেখানকার মানুষজন অভিযোগ করেন জিটিএ দুর্নীতি ও স্বজনপোষনের আখড়া হয়ে উঠেছে। ২০১৭-র পর থেকে কোনও ভোট হয়নি। দুর্নীতির আখড়া ভাঙতে ক্যাগকে গিয়ে অডিট করাতেই হবে। মানুষের সঙ্গে কথা বলার পরেই অডিটের কথা বলেছি।" এদিন রাজ্যপাল সরাসরি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম নাগরিক হিসেবে তিনি কোনওভাবেই মাথানত করবেন না। তিনি কেবল সংবিধাননের সামনে মাথানত করবেন।
এদিন ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের একবার সরব হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পাশাপাশি করোনার চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনায় ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন রাজ্যপাল।