বন্যার ভয়ে গোটা পরিবার নিয়ে পালিয়ে এসেও শেষ রক্ষা হল না আর। জলে ডুবে মৃত্যু হল এক রত্তির। বৃহস্পতিবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে হুগলির তারকেশ্বরে। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। মৃতার নাম বর্ষা কুমারী।
জানা গেছে, বিহারের বাসিন্দা ওই পরিবারটি সেখানে বন্যার কবল থেকে বাঁচতে দিন কয়ের আগেই তারকেশ্বরে আত্মীয়ের বাড়িতে এসে উঠেছে। সেখানে এসেও বৃষ্টির মুখে পড়তে হয় তাদের। যদিও, নিজেদের গ্রামের থেকে এখানকার পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। কিন্তু, ভাগ্যের পরিহাস পিছু ছাড়ল না পরিবারটির। এদিন সকালে, বছর দু'য়েকের শিশুটি বাড়ির সামনেই খেলছিল। হঠাৎই সেখান থেকে পা পিছলে পড়ে যায় এলাকার হাইড্রেনে। এদিকে দিন কয়েকের প্রবল বৃষ্টিতে এখন সেই হাইড্রেনে ভয়ঙ্কর জলের স্রোত। মনে করা হচ্ছে তাতেই টেনে নিয়ে যায় শিশুটিকে।
বেশ কিছুটা সময় শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে শুরু হয় খোঁজ। গোটা এলাকা খুঁজেও তাকে না মেলায় রেল বসতির কাছে হাইড্রেন ধরে দেখা শুরু করেন স্থানীয়রা। বেশ কিছুটা সময় পর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে রামনগর এলাকায় শিশুটির দেহ ভেসে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
স্বভাবতই এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের সদস্যরা বিহার থেকে এখানে আসাকেই কাল বলে মনে করতে শুরু করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই অবিরাম বৃষ্টি ও নদীতে জল ছাড়ার ফলে, হুগলি জেলার বিস্তির্ণ অঞ্চল জুড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এমনকি, ডিভিসি থেকে জল ছাড়ায় তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তিনি।