হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করাতে গিয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়াল রায়গঞ্জে।
আরও অভিযোগ, ওই হাতুড়ে চিকিৎসক মরদেহ পাঠিয়ে দিয়েছিল শ্বশুরবাড়ি। আর তাঁরা কাউকে কিছু না জানিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে যাচ্ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থানার বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর খোকসা গ্রামের ঘটনা। মৃতার নাম ভবো বর্মন (৪৭)। তাঁর বাড়ি ওই এলাকাতেই। বাসিন্দাদের কাছ থেকে গোলমালের খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশকর্মীরা ভবোর বাড়িতে গিয়ে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে মরদেহে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তাঁর পরিবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে।
মৃতার স্বামী রবিরাম বর্মনের দাবি, মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন ভবো। এরপর রবিবাম ও পরিবারের লোকেরা তাঁকে একটি টোটোতে চাপিয়ে বিন্দোলহাট এলাকায় বাসেদ আলি নামে গ্রামেরই ওই হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
এদিন রবিরাম আরও বলেন, "এর আগে আমার স্ত্রী ওই হাতুড়ে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়েছে। কিন্তু ওইদিন ওই চিকিৎসক আমার স্ত্রীয়ের শরীরে পর পর দুটি স্যালাইন দিতেই স্ত্রীর মৃত্যু হয়। ওই হাতুড়ে চিকিৎসকের চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার জেরেই আমার স্ত্রীয়ের মৃত্যু হয়েছে।"
তাঁর অভিযোগ, ওইদিন ভবোর মৃত্যু হতেই ওই চিকিৎসক তড়িঘড়ি একটি ছোটগাড়ি ভাড়া করে তাঁর মৃতদেহ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এদিকে, মৃতার পরিবারের লোকেরা ওইদিন পুলিশকে কিছু না জানিয়ে গোপনে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ সৎকার করার তোড়জোড় শুরু করেছিলেন। এমনই অভিযোগ উঠেছে।
এরপর পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে মঙ্গলবার রায়গঞ্জ মেডিকেলের মর্গে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করিয়েছে। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত ওই হাতুড়ে চিকিৎসক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রাও।