চা-বাগান (Tea Garden)-এর নালা থেকে উদ্ধার জখম চিতা (Leopard)। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার (Alipurduar)-এর দলমোর চা-বাগান (Dalmor Tea Garden) থেকে। প্রাণীটির ডান চোখে গভীর গভীর ক্ষত রয়েছে।
বন দফতর এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar)-এর বীরপাড়া ব্লকের দলমোড় চা-বাগানে। এদিন সকালে চা-বাগানের নালা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চিতা বাঘটিকে। চিতাটির বয়স আনুমানিক দেড় বছর।
এদিন জখম অবস্থায় চা বাগান (Tea Garden)-এর নালায় পড়েছিল। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় চিতাটিকে। তবে ঠিক কী কারনে ওই চিতাটি জখম হয়েছে, তার কারন স্পষ্ট নয় বন দফতর কাছে।
সেটির ডান চোখে গভীর ক্ষত রয়েছে। বন দফতর অনুমান ঢিল ছুড়ে চিতাটিকে জখম করা হয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাণীপ্রেমীরা।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে আহত চিতাটির চিকিৎসা চলছে। এদিন বন দফতর আরও জানিয়েছে, সুস্থ হওয়ার পর ওই চিতাটিকে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি চিতাবাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
গত তিন মাসে ডুয়ার্সের জঙ্গল এলাকা থেকে পাচটি চিতা বাঘের শাবক উদ্ধার হয়েছে। সবগুলো চিতার শাবককে রাখা হয়েছে খয়েরবাড়ি পুনর্বাসন কেন্দ্রে।
দিন কয়েক আগে চা-বাগান থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি চিতাবাঘের দেহ, আলিপুরদুয়ার (Alipurduar)-এই। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
চা-বাগানের নালা থেকে উদ্ধার একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ লেপার্ডের মৃতদেহ। মৃত লেপার্ডের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত প্রাণীটির দেহ থেকে লেজটি উধাও হয়ে গেছে।
তবে লেপার্ডের মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি বক্সা টাইগার রিজার্ভের এফডি শুভঙ্কর স্যানাল। প্রাণীটির দেহ থেকে লেজটি কোথায় গেল? তা নিয়েও কিছু জানান নি শুভঙ্কর স্যানাল।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের কালচিনি ব্লকের রাজাভাত চা বাগানে। বুধবার চা বাগানের শ্রমিকরা চায়ের পাতা তোলার সময় ওই বাগানের দুই নম্বর সেকশনে লেপার্ডের লেপার্ডের মৃতদেহটি দেখতে পায়।তারপর চা শ্রমিকরাই বনদফতরে খবর দেয়।
এই ঘটনা নিয়ে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এলাকায়। এই নিয়ে এক বছরে আলিপুরদুয়ার জেলায় মোট পাঁচটি চিতাবাঘের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ, পরিবেশপ্রমী, বন্যপ্রাণ নিয়ে কাজ করেন এমন সংগঠন।
তাঁদের দাবি, এই ঘটনার তদন্ত করতে হবে। আগের ঘটনাগুলিরও তদন্ত করতে হবে। প্রকৃতিপ্রেমীরা জানাচ্ছেন, এমন হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। এই জাতীয় ঘটনা বন্ধ করতেই হবে। দোষীদের খুঁজে বের করতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে। না হলে এমন ঘটনা বন্ধ করা যাবে না।