দাঁতাল হাতি (Tusker)-র হামলায় তছনছ তিনটি বাড়ি। শুক্রবার গভীর রাতে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar)-এর ঘটনা। সেখানকার বাসিন্দারা কোনও ক্রমে পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, হাতির হামলায় ভাঙল ঘরের আসবাবপত্র। কোনও মতে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা হলো দুই শিশু, তিন মহিলা সহ ছয় জনের। ঘটিনাটি ঘটেছে শুক্রবার গভীর রাতে আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের তাসাটি চা বাগান (Tasati Tea Garden)-এ। তাণ্ডব চালিয়ে সে জঙ্গলের দিকে চলে গিয়েছে বলে খবর। তার আগে রাতভর তাণ্ডবের সাক্ষী থাকল আলিপুরদুয়ার।
স্থানীয় সূত্রের খবর, দাঁতালের হানায় বাড়িঘর হারিয়ে এখন এক প্রকার রাস্তায় থাকতে হচ্ছে। শীতের রাতে সমস্যা বাড়বে। তাই দ্রুত বাড়ি মেরামতের চেষ্টা করছেন তারা। এই ক্ষয়ক্ষতির পূরণ হবে কী করে, তা জানা নেই তাঁদের। ঘরবাড়ি সারানোর টাকা আসবে কোথা থেকে, তা-ও অজানা। দাঁতালটি পর পর বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায়। ভেঙেচুরে দেয় সব। সেইসঙ্গে ভেতরে থাকা আসবাবও বাদ যায়নি। সেগুলির ওপর-ও তাণ্ডব চালানো হয়। দীর্ঘক্ষণ এই ঝড় বয়ে যায়। আর তটস্থ হয়ে পড়েন মানুষ। কোনও রকমে রাত কাটিয়েছেন তাঁরা।
শুক্রবার রাতে দাঁতাল হাতিটি হাটখোলা লাইনের বিষ্ণু ওঁরাওয়ের বাড়িতে প্রথমে হামলা চালায়। বিষ্ণু ওড়াওয়ের ঘর ভেঙে গুড়িয়ে ফেলে দাঁতাল হাতিটি। ঘটনায় কেউ আহত হননি এই রক্ষে।
এরপর বুধুয়া মুন্ডার বাড়িতে ঢুকে পড়ে দাঁতাল হাতি। বুধুয়ার ঘরের দরজা ভেঙ্গে সমস্ত আসবাবপত্র ভেঙ্গে ফেলে দাঁতালটি। বুধুয়ার বাড়ি ভেঙ্গে হাতিটি রুপি ওঁরাওয়ের বাড়ি ভাঙচুর করে।
ভোর রাতে হাতিটি জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলে প্রবেশ করে। স্থানীয় বাসিন্দা রুপি ওঁরাও জানান, হাতিটি রাতভর হামলা চালিয়েছে। তিনটি বাড়ি ভেঙেছে ওই হাতিটি। এই শীতে কিভাবে পরিবার নিয়ে রাত কাটাব, তা বুঝতে পারছি না।
ঘটনার ব্য়াপারে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাদের কী প্রতিক্রিয়া, তা জানার চেষ্টা করা হয়। তবে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।