scorecardresearch
 

'ভিত্তিহীন-মনগড়া তথ্য,' ধনখড়ের চিঠির পাল্টা স্বরাষ্ট্র দফতর

আজ দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে অভিযোগ করেছিলেন, ভোট পরবর্তী রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। প্রশাসন এই বিষয়ে নীরব। রাজ্যপালের এই অভিযোগের জবাব দিল রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর।

Advertisement
ধনকড় ও মমতা ধনকড় ও মমতা
হাইলাইটস
  • রাজ্যপালের চিঠির পাল্টা দিল স্বরাষ্ট্রদফতর
  • রাজ্যপাল মনগড়া কথা লিখেছেন বলে অভিযোগ নবান্নের

আজ দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে অভিযোগ করেছিলেন, ভোট পরবর্তী রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। প্রশাসন এই বিষয়ে নীরব। রাজ্যপালের এই অভিযোগের জবাব দিল রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। ট্যুইটে দেওয়া জবাবে রাজ্য সরকারের অভিযোগ, মনগড়া কথা লিখেছেন রাজ্যপাল। তিনি আইনও মানেননি। যে সব অভিযোগ করেছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই। 

রাজ্যপালের চিঠির উত্তরে ৫টা ট্যুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর। সেখানে লেখা, 'পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নিয়ে যে পর্যবেক্ষণ রাজ্যপাল করেছেন তা অনাকাঙ্খিত, অপ্রত্যাশিত ও হতাশাজনক। তিনি যে তথ্য প্রকাশ করেছেন তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। নিয়ম না মেনে রাজ্যপাল খোলা চিঠি দিয়েছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে। এতে পারস্পরিক সম্পর্ক ও বোঝাপড়ার ব্যাঘাত ঘটে। সরকার আরও বিস্মিত, কারণ, যে তথ্য রাজ্যপাল পরিবেশন করেছেন তা মনগড়া। এর সাথে বাস্তবের কোনও সম্পর্ক নেই।' 

পরবর্তী ২টি বার্তায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ইস্যু নিয়ে রাজ্য়পালের তোলা প্রশ্নের জবাব দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। লেখা হয়েছে, 'রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেই সময় আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার পরপরই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। যারা দুষ্কৃতী, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। রাজ্যে শান্তির বাতাবরণ রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।' 

Advertisement


প্রসঙ্গত, আজ দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি দিয়ে আক্রমণ করেন রাজ্যপাল ধনকড়। তিনি লেখেন, 'ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন এখনও নীরব। রাজ্যে মানবাধিকার লুন্ঠিত। মহিলাদের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। যা স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের গণতন্ত্রে ঘটা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ ঘটনা।' 
 

Advertisement