ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত সাড়ে দশটা। চারদিকে অন্ধকার। সঙ্গে ত্রিপল আর একজনকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লেন কান্তি গাঙ্গুলি। ইতিমধ্যেই রাস্তায় জল জমতে শুরু করেছে। সেই জল পায়ের পাতা ছুঁইছুঁই। আর তা মাড়িয়েই ত্রিপল হাতে এগিয়ে চলেছেন আটাত্তরের কান্তি গাঙ্গুলি।
তিনি জানালেন, এত রাতে রায়দিঘির বিভিন্ন এলাকায় যাবেন। কোথায় কতটা জল দেখবেন। যারা অসুবিধেয় পড়েছে তাদের সাহায্য করবেন। কান্তিবাবু বলেন, 'এখন জোয়ার চলছে। আরও ঘণ্টাখানেক চলবে। প্রায় ২ ফুট জল বাড়বে। এখন হাওয়া পূর্ব-উত্তরের হাওয়া। কাল সকালে চন্দ্রগ্রহণ। সেই সময় যদি ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে হাওয়া আসে, তাহলে বাঁধ ভাঙবে। অনেক গ্রাম প্লাবিত হবে।'
প্রসঙ্গত, রায়দিঘির বিরাজমোহিনী স্কুলে ইতিমধ্যেই প্রায় ১ হাজার জন স্থানীয় গ্রামবাসীর থাকার ব্যবস্থা করেছেন কান্তিবাবু। তাদের খাওয়ার ব্যবস্থাও করেছেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে আজ বাঁধ পরিদর্শনের কাজও সেরেছেন।
আরও পড়ুন : Yaas: বাড়তে পারে দুর্যোগ, নবান্নে রাত জাগবেন মুখ্যমন্ত্রী
শনিবারই কান্তিবাবু ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছিলেন, তিনি আসছেন। অর্থাৎ ইয়াসের মোকাবিলা করতে সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষের পাশে যে তিনি দাঁড়াবেন, তা জানিয়ে রেখেছিলেন। সেই মতো কাজেও নেমে পড়েন । এই প্রথম নয়, আগেও সুন্দরবন অঞ্চলের যে কোনও দুর্যোগে সবার আগে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এই সিপিআইএম নেতা। এবারও তার ব্যতিক্রম তহল না।