আজই তৃণমূলের নব নির্বাচিত মন্ত্রিসভার সদস্য়রা শপথ নেবেন। মন্ত্রিসভায় মোট ৪৩ জনকে জায়গা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার মধ্যে নতুন মুখ ১৭ জন। তবে বাদ পড়েছেন পুরোনো মন্ত্রিসভার ৮ জন।
বিধায়ক হিসেবে জিতলেও এই মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন, তাপস রায়, নির্মল মাজি, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, তপন দাশগুপ্ত, মন্টুরাম পাখিরা, গিয়াসুদ্দিন মোল্লা, জাকির হোসেম ও আসীমা পাত্র। ২০১৯ সালের আগেই তাপস রায়কে মন্ত্রী করেন মমতা। ২০১৬ সালে মমতার দ্বিতীয় সরকারের মন্ত্রি ছিলেন অসীমা। প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও মন্ত্রিসসভায় জায়গা পাননি। মন্টুরাম পাখিরা ও গিয়াসুদ্দিন মোল্লা দ্বিতীয় সরকারের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছিলেন। তবে এবার তাঁদের মন্ত্রিসভায় রাখেননি তৃণণূল সুপ্রিমো। গতবারেডর শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনেরও নাম নেই মন্ত্রিসভায়। যদিও তাঁর কেন্দ্র জঙ্গিপুরে এখনও ভোট হয়নি। আরএসপি প্রার্থীর মৃত্যুর জন্য এই কেন্দ্রে ভোট পিছিয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন : 'ওষুধে করছাড় দিন', প্রধানমন্ত্রীকে ফের চিঠি মমতার
এবছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে দুহাত ভরে আশীর্বাদ করেছে জেলা। অথচ জেলা থেকে সেভাবে মন্ত্রিত্ব পাননি বিধায়করা। বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে কলকাতাকে। এই জেলার মোট ১১ আসনের মধ্যে সবকটিই পেয়েছে তৃণমূল। শুধু কলকাতা থেকেই ৭ জনকে মন্ত্রী করেছেন মমতা।
জেলার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ৬ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ৩ জন, পশ্চিম মেদিনীপুর থেরে ৩ জন, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ১ জন, হাওড়া থেকে ২ জন, নদিয়া ও পশ্চিম বর্ধমান থেকে ১ জন, বীরভূম, উত্তর ,দিনাজপুর, পূর্ব বর্ধমান থেকে ২ জন, হুগলি থেকে ৩ জন, মুর্শিদাবাদ থেকে ২ জন, পুরুলিয়া থেকে ১ জন, মালদা, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি জেলাগুলি থেকে, ১ জন করে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। কোচবিহার থেকে একজনকে প্রতিমন্ত্রী করেছেন মমতা।